পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ ৷ মহাভাগবত । পারেন ; অথবা হস্তমান বলিয়া যে ব্যক্তি বিবেচনা করে, তাহার অবশ্বাই কোন দিন হন্ত বলিয়। আত্মাকে বিবেচনা হয় ; কিন্তু সেই উভয়ই ভ্রান্তহৃদয় ; আত্মা কখনও হস্তাও হন না; কখন হতও হন না । হে পিতঃ ! তুমি আত্মার এই স্বৰূপ নিশ্চয় করিয়া সমুদয় বিদ্বেষ পরিত্যাগ করিয়া সুখী হও । বিষয়ানুরাগ এবং বিদ্বেষ, এই দুইটিই সমুদায় মনস্তাপ এবং সংসারবন্ধনের কারণ । অনন্তর হিমালয় বলিলেন, হে জননি! অামার সংশয় হইতেছে যে, মাত্মা দেহাদি হইতে ভিন্ন ও নিল্লিপ্ত ; তাহার দুঃখ নাই; দেহাদিও অচেতন পদার্থ, সুতরাং তাহারও দুঃখ নাই ; তবে দুঃখের অনুভব কে করে? দেহের মধ্যে কোন ব্যক্তিই দুঃখের ভোক্ত হন ? হে মহেশ্বরি ! আমাকে যদি অনুগ্রহই করিয়াছেন, তবে এই সংশয় নিবারণ করুন । পাৰ্ব্বতী বলিলেন, পিতঃ ! এ কথা সত্যই ; দেহাদির দুঃখ নাই ; আত্মারও দুঃখ নাই ; কিন্তু আমার মায়াতে মোহিত হইয়া আত্মা আপনার বাস্তবিক ভাব বিস্মৃত হইয় আপনাকে সুখী কিয়া দুঃখী বলিয়া জ্ঞান করেন ; আমার সেই অনাদি-অবিদ্যাৰূপিণী মায়া এই সমস্ত জগৎকে মোহিত করিয়া রাখেন ; জীবের জন্মমাত্রেই মায়ার সহিত সম্বন্ধ হয় ; মায়ার সম্বন্ধ বশতঃ জীবের মনোমধ্যে রাগদ্বেষাদিতে সংকুল ঘোরতর সংসার বিহার করিতে থাকে; সেই সংসার শক্ত মন প্রতিক্ষণেই বিকারী; তিনি কখন কোন ৰূপ ধারণ করেন, এবং কত ৰূপই বা ধারণ করিতে পারেন, তাহ অনির্ণেয় ; আত্মা