পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ンbペ মহাভাগবত । দৃঢ়বিশ্বাসপূর্বক কখন কখন অবলোকন হইয়া জগতের কোনও রমণীয় বস্তুকে তদপেক্ষ। অধিক রমণীয় বলিয়া বোধ হয় না ; জগতের কোনও লাভকে তল্লভ অপেক্ষা অধিক বোধ হয় না; তাহতেই ক্রমশঃ আমাকে প্রাপ্ত হইয়া দুঃখালয় অনিত্য যে পুনর্জন্ম, তাহাকে সেই মহাত্মারা আর ভোগ করেন না ; অনন্যমন হইয়া যে ব্যক্তি আমাকে সৰ্ব্বদ। স্মরণ করেন, তাহাকে এই দুস্তর সংসারসাগর হইতে অবশ্যই উদ্ধার করি । সতত চিস্তা করিতে অসমর্থ ব্যক্তিও যদি মৃত্যুকালে আমাকে চিন্তা করিয়া প্রাণ ত্যাগ করেন, সে ব্যক্তিও সংসার দুঃখে পুনর্মার বাধিত হন না। অনন্যচেতা হইয়। অামার যে ৰূপের ভজন করুন, তাহাতেই মুক্তিলাভ করেন। কিন্তু সত্বরে মুক্তিলাভ করিবার নিমিত্ত আমার শক্তিময় ৰূপকেই অশ্বিয় করা কর্তব্য। অতএব হে পিতঃ ! অামার শক্তিময় ৰূপকে অবলম্বন কর, অপোয় সেই পরমধন মুক্তি লাভ করিতে পারিবে; অন্য দেবতাকে যিনি ভজন করেন, তিনিও অামাকেই ভজনা করেন; আমি একাই সৰ্ব্বৰূপ ধারণ করিয়াছি; আমিই সমুদায় যজ্ঞের ফল প্রদান করি ; কিন্তু সার তত্ব তোমাকে যাহা কহিয়াছি, তাহতেই মুক্তি সুলভ, তদ্ব্যতিরেকে মুক্তি দুল্লভ। পীড়িত,জ্ঞানাকাঙ্গী, ধনকাঙ্ক্ষী এবং জ্ঞানী, এই চতুব্বিধ লোক আমার ভজন করেন ; এই চতুৰ্ব্বিধই উদার মহাত্মা; কিন্তু জ্ঞানীকে আমার স্বৰূপই জানিবে। যে ব্যক্তি যাদৃশ কামনা করিয়া শ্রদ্ধাম্বিত ভাবে আমার যে কোনও মূৰ্ত্তির ভজনা করে, আমি সেই মুৰ্বিতেই তাহার সেই শ্রদ্ধাকে সফল করি ; কিন্তু যে ব্যক্তি