পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভাগবত । . ه د এই বাক্য শুনিয়া সত্যবতীতনয় ব্যাসদেব, সেই মুনিশাৰ্দ্দল জৈমিনিকে প্রশংসা করিয়া কহিতে লাগিলেন, হে মহামতে জৈমিনে! সাধু, সাধু। তুমি ভক্তিমান ; তুমি জ্ঞানবান । বৎস! তুমি সম্প্রতি উত্তম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতেছ ; যাহা শ্রবণ করিলে মনুষ্যকে পুনৰ্ব্বার আর গৰ্বযন্ত্রণ। অনুভব করিতে হয় না। ধৰ্ম্ম-বর্জিত, কিম্বা মহাপাতকী যাহা শ্রবণ করিয়া ব্রহ্ম হত্যাদি পাপ হইতে মুক্ত হয়, তাহাতে তোমার শ্রবণোচ্ছা হইয়াছে ; সুতরাং তুমি ভাগ্যবান । অধিক কি কবি, যে পৰ্য্যন্ত জীবের দুর্গচরিত্র কর্ণগোচর না হয়, ব্রহ্মহত্যাদি পাপ সকল, এবং অতিসুদারুণ ঘোরতর যমের ভয়, সেই পর্যন্ত অবস্থান করে। শত-পাপকারী মানবও যদি ইহা শ্রবণ করে, তবে তাহাকে দেখিলে ধৰ্ম্মরাজ দণ্ড ত্যাগ করিয়া তাহার চরণে পতিত হন। যাহা পঞ্চানন পঞ্চ বক্ত, দ্বার। বলিতে পারেন না, তুর্গ। দেবীর সেই অতুল মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিতে কোন ব্যক্তি সমর্থ হইবে ? বারাণসী ক্ষেত্রে মিয়মান ব্যক্তিদিগের নিকট শম্ভ, স্বয় ইচ্ছাক্রমে আগমন করিয়া, সেই সৰ্ব্বদেবময়ী দুর্গাদেবীর যে মন্ত্রে যিনি গুৰূপদিষ্ট হইয়াছেন, সেই মন্ত্রই তাহার কর্ণে প্রদান করিয়া নিৰ্ব্বাণ দান করেন। হে বিপ্রর্ষে ! নিৰ্ব্বাণপদদায়ক যত মন্ত্র আছে, মোক্ষদায়িনী এক দুর্গাই সেই সকল মন্ত্রের বীজস্বৰূপ ; এই নিমিত্ত বেদ সকল সেই দুর্গাকেই সকল মন্ত্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা বলেন। শশক, মশক প্রভৃতি যে-সকল অন্যান্য জীবগণ ভূমিতলে আছে, তন্মধ্যে কেহ যদ্যপি পূৰ্ব্ব