পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ অধ্যায় । পৰ্ব্বতীর বাল্যভাব । জৈমিনি বেদব্যাসকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে মহর্ষে । মহাদেব সংসারে বিমুখ হইয়া যোগচিন্তায় নিরত আছেন ; অতএব সেই মহাদেব আবার কিৰূপে দার পরিগ্রহ কfরলেন ? সেই পাৰ্ব্বতীই বা কিৰূপে হরের শরীরাদ্ধহরণ ভাৰ্য্যা হইয়াছিলেন ? এই সমস্ত বিস্তার করিয়া কীৰ্ত্তন করুন । বেদব্যাস বলিতেছেন, বৎস! শ্রবণ কর, মহেশ্বর যাহ। বলিয়াছেন । যাহার মায়াতে এই বিশ্বসংসার বিমুগ্ধ হইয়া রহিয়াছে, তাহার ইচ্ছার অন্যথা করিতে কোন সুরাসুর ও নর কিন্নর কেহই পারেন না ; যিনি আদ্যা প্রকৃতি, স্বষ্টিস্থিতি প্রলয়ের এক কত্রী, তিনিই অতি বাল্যভাবে হিমালয়গৃহে কালযাপন করিতে লাগিলেন । বর্ষ সময়ের নদী যেমন দিন দিন বৃদ্ধিমতী হয়, এবং শুক্লপক্ষের শারদ শশী যেমন দিন দিন নবোন্নত শোভারাশি বিস্তার করেন, পাৰ্ব্বতীরও সেইৰূপ ক্রমোন্নত নব নব শোভার প্রকাশ হইতে থাকিল। পাৰ্ব্বতীকে দর্শন করিয়া গিরিরাজের নয়নপিপাসার নিরাস হইত না । তাহার অনুৰূপ পুত্র থাকিতেও পাৰ্ব্বতীকে দেখিতেই সৰ্ব্বদা অভিলাষ করিতেন। হিমালয়ের কতই তপস্যা ! যে পরম ধন ধ্যানধারণার দুর্লভ, জন্ম জন্ম যোগাচরণ করিয়াও যোগীগণ যাহাকে প্রাপ্ত হইতে পারেন না, সেই ব্ৰহ্মৰূপিণী পাৰ্ব্বতীকে 2 3