পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ অধ্যায় ; २ ●¢ পন্ন হইলেন ; চিত্তচাঞ্চল্যকে দুন্নিবাৰ্য্য দেখিয়া অনেকেই ঐ বন পরিত্যাগ করিয়া বনান্তরে প্রস্থান করিলেন। কত যোগীর যোগ ভ্ৰষ্ট হইল ; ইন্দ্রিয়ক্ষোভে অধীর হইয়া, কত জন উন্মত্তের স্যায় কার্য্যানুষ্ঠান করিতে থাকিলেন । অধিক কি বলিব, যাহারা নিতান্ত শিবপরণয়ণ মহেশের প্রমথগণ, তাহারাও বিকলান্তঃকরণ হইয়া উঠিল ; তথাপি ত্রিলোচনের ক্ষণাদ্ধের নিমিত্তও অন্তঃকরণে বিষয়ানুরাগ হইল না। তখন মদন বিবেচনা করিলেন যে, আমার সৈন্ত সামন্ত দ্বারা উদেশ্ব কার্য্যের কিছুই সফল হইল না, অতএব আপনাকেই অগ্রসর হইতে হইল ; এই বিবেচনা করিয়া ধনুৰ্ব্বাণ গ্রহণ করতঃ রতি সমভিব্যাহারে মহাদেবের অনতিদূরে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন যে, প্রলয়কালের অগ্নির স্যায় জাজ্বল্যমান তেজঃপ্রভাতে কোটি সুর্য্যের প্রভাকেও যেন উপহাস করিতেছেন ; তদর্শনে মদন ভীতান্তঃকরণ হইলেন ; কিন্তু প্রতিশ্রত বিষয় না করিলেও নয়, এই বিবেচনায় ধনুতে জ্যা সংযোগ করিতে যান, এমন সময়ে রতি র্তাহার হস্ত ধারণ করিয়া বলিতে লাগিলেন, প্রাণবল্লভ ! আমার বাক্য শ্রবণ করুন ; যোগীশ্বরের উপর বাণ প্রহার করিবেন না ; যাহার দেদীপ্যমান প্রভামণ্ডল দ্বারা নভোমণ্ডল আলোকিত হইয়াছে ; গ্রীষ্মকালের মধ্যাহ্ন সময়ের রবিমণ্ডলকেও বরং নিরীক্ষণ করা যায়, কিন্তু তেজঃপুঞ্জময় ইহার গাত্রে নেত্রপাত করিতেও সমর্থ হইতেছি না ; ইহার উপর বাণ প্রহার করিয়া কি প্রজ্বলিত হুতাশনে ঘৃত