পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাবিংশ অধ্যায়। ミ*。 স্বভাবতঃই শিবমোহিনী, তদুপরি আবার বসন্তপুঙ্গাভরণে বিভূষিত হইয়া সমধিক সুশোভিত হইয়াছেন ; মহাদেব এক গ্রচিত্তে র্তাহার ৰূপরাশি দর্শন করিতে থাকিলেন। ইত্যবসরে মদন পুনৰ্ব্বার সন্মোহন বাণ ধনুতে যোজনা করিয়া শিবহৃদয়ে প্রহার করিবণমাত্র, মহাদেব একান্ত বিমুগ্ধচেতা হইয়া পৰ্ব্বতনন্দিনীকে যেৰূপ সমাদর এবং সম্ভাষণাদি করিতে লাগিলেন, বোধ হইল যেন তদণ্ডেই পাৰ্ব্বতীর পাণি গ্রহণ করেন । এই ৰূপ চাঞ্চল্যভাব অবলোকন করিয়া অন্তরীক্ষে সশঙ্কিতচিত্ত ইন্দ্রাদি দেববৃন্দের অপার আনন্দের উদয় হইল ; উপহার কামদেবের মস্তকোপরি ক্ষণে ক্ষণে পুষ্পবর্ষণ করিতে লাগিলেন । এই প্রকারে কিয়ৎকাল অতিবাহিত হইলে, মহাদেব মনে মনে বিবেচনা করিলেন, আমার প্রশান্তচিত্তের ঈদৃশভাব কি কারণে উপস্থিত হইল! এই পাৰ্ব্বতী-বদন প্রায়ই দেখিয়াছি, কিন্তু কোন দিন এৰূপ অধৈর্য্য হই নাই। অদ্য যে অবসাঙ্গ হইলাম ! আমার বিবেক সারথিই বা কোথায় রহিলেন ? এই বিশুদ্ধ দেহরথ কি হঠাৎ কলঙ্কপুঙ্কে মগ্ন হইবে ? এই ৰূপ চিন্তা করিতে করিতে ইতস্ততঃ নেত্রপাত করিয়া দেখিলেন যে, আগ্রমের প্রান্তভাগে বীরাসনে উপবিষ্ট পঞ্চশর অাকৰ্ণ আকর্ষণে স্বকীয় চাৰু চাপকে চক্রীকৃত করিয়া পুনৰ্ব্বার বাণপ্ৰহারে উদ্যত হইয়াছেন। ইত্যবসরে ত্রিকালজ্ঞ ব্ৰহ্মা মদনের ধনুঃসার, শক্তিসার, প্রাণসার, আর বসন্তসার, ७झे কএকটী সংগ্ৰহ করিয়৷ স্বস্থানে প্রস্থান করিলেন। মহাদেব মদনকে २१