পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ অধ্যায় । রতির বিলাপ । তীব্রতেজা অনল বজ্রাগ্নি-বেগে মন্মথের উপর পতিত হইলে, কামপত্নী রতির সেই সময় যে কতই ছুঃখময় হইয়াছিল তাহা অনিৰ্ব্বচনীয়। তৎক্ষণমাত্রেই রতি মুচ্ছিতা হইলেন ; ইন্দ্রিয়গণের বৃত্তি রোধ হইয়া মুহূৰ্ত্তকাল কোন দুঃখই অনুভূত হইল না ; মুচ্ছৰ্গও একান্ত উপকারিণী হইয়। প্রিয়সখীর কার্য্য নির্বাহ করিল। কিছুকাল মুচ্ছিতা থাকিয়া কামবধু বিবোধিত হইলেন ; অস্তেবাস্তে নয়ন উন্মীলন করিয়া দেখিলেন, পতি ভূমিশয্যায় শয়ান রহিয়াছেন ; দ্রুতপদে নিকটস্থ হইয়া উচ্চরবে বলিলেন, জীবিতনাথ ! তুমি কি জীবিত আছ ? এই বাক্যের কিছুই উত্তর না পাইয়া গাত্র স্পর্শ করিয়া দেখিলেন যে, পুরুষাকৃতি ভষ্মরাশিমাত্র ; তদর্শনে রতি পুনৰ্ব্বার বিহ্বল হইয়া, ছিন্ন মূল তরুর ন্যায় ভূপৃষ্ঠে পতিত হইলেন ; পুনৰ্ব্বার উপবিষ্ট হইয়া বক্ষঃস্থলে করাঘাত করিতে লাগিলেন, এই প্রকার বারম্বার ধরণীকে আলিঙ্গন করিয়া, আলুলায়িত কেশে উচ্চৈঃশব্দে এৰূপ রোদন করিতে লাগিলেন যে, নয়নশ্রু দ্বারা ধরাতল অভিষিক্ত হইয়া গেল, বোধ হইল পৃথিবীও উহার দুঃখে ছুঃখিত হইয়া রোদন করিতেছেন। এইৰূপে ক্ষণকাল চীৎকার করিতে করিতে কণ্ঠস্বর