পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

くらく মহাভাগবত । অর্ণবদ্ধ প্রায় হইল ; চীৎকার করিতে অণর সমর্থ্য থাকিলন। তখন উপবেশন করিয়া বলিতে লাগিলেন, হে জীবিতেশ ! যদি বিলাসিনী রমণীরা নিজনাথের অত্যন্ত ৰূপলাবণ্য দর্শন করে তাহা হইলে মনে করে আমার কান্তের কন্দপের ন্যায় কান্তি ; অতএব নাথ ! তোমার সুন্দরাঙ্গই যাবদীয় সুন্দরের উপমার স্থল। আহা ! এমন সুন্দরাঙ্গও ভস্মরাশি হইল! তথাপি আমি জীবিত থাকিলাম ! ইহাতে নিশ্চয় -বিবেচনা হইতেছে যে, রমণী-হৃদয় অত্যন্তই কঠিন ; তাহ। না হইলে এতক্ষণ অবশ্যই আমার বক্ষঃস্থল বিদীর্ণ হইয়া । যাইত ! হে নাথ ! সেতুভগ্ন হইলে জলরাশি যেমন জলপ্রাণী পদ্মিনীকে প্রান্তরে নিক্ষেপ করিয়া গমন করে, তদনুৰূপ অধীনীকে পরিত্যাগ করিয়া কোথায় গমন করিলেন । প্রাণবল্লভ ! আপনি সৰ্ব্বদাই বলিতেন যে, “প্ৰাণেশ্বরি! তুমি আমার প্রাণের সারাংশ, অতএব হৃদয়ের অভ্যন্তরেই তোমার বাসস্থান ; উপদ্রবশ্বন্য হৃদয়কুঞ্জে তোমায় রাখিয়াছি ; ” এই সমস্ত কথাকে সত্য বলিয়াই আমার বিশ্বাস ছিল ; কিন্তু এক্ষণে জানিলাম সেট তোমার সমাদর বাক্যমাত্র ! আমি যদি তোমার হৃদয়বাসিনী হইতাম, অবশ্যই মদীয় কলেবরও ভস্মাবশেষ দশ প্রাপ্ত হইত ! হে রমণ ! তুমি কোনও কারণবশতঃ অৰ্দ্ধমুহূৰ্ত্তও আমাকে না দেখিতে পাইলে অবিলম্বে আসিয়া যেৰূপ সমাদর করিতে, এক্ষণে তাহাই স্মৃতিপথাবলম্বী হইয়া অসীম দুঃখরাশি উদ্ভূক্ত করিতেছে! সেই অতুল্য অাদরের ঈষৎ তুলনাও কি কোথাও দর্শন ।