পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ মহাভাগবত । বৎসরকাল তপস্যায় যাপন করিলে পর, একদা সমাধিবিরাম সময়ে আশ্রম পাশ্বে প্রফুট ত অ তনী পুষ্পের স্তৰক দর্শন করিয়া অত্যকুসুমগৌরীকে স্মরণ হইল ; সমধিকালে অস্থঃকরণকে নিতান্ত নিশ্চল করিয়। ত্ৰ নিয়া গেীরীর তেজঃ স্বৰূপ নিস্ফল ৰূপে স্থাপন করিতেন ; অতএব নয়ন, শ্রবণ প্রভৃতি বহি-রিন্দ্রি গণ ও মনে মোগ না পাইয়া স্ব স্ব কার্য্য করিতে অক্ষম ছিল ; সমাধিবিরাম সময়ে মনকে সহায় প্রাপ্ত হইয়া বাহেন্দ্রিয়গণ সকলেই সক্ষম হইল ; বিশেষতঃ ত্রি জগতের মধ্যে আর কোন বিষয়েই মহাদেবের অনুরাগ ছিল না, কেবল সুবর্ণবর্ণ অপর্ণর সেই অপৰূপ ৰূপরাশিতেই সমস্ত অনুরাগ বিরাজ করিত। সেই জন্য ত্রিনয়নের বুভুক্ষিত নয়ন মনের সহিত পাৰ্ব্বতীৰূপের অনুৰূপ দৰ্শন করিয়া তৎক্ষণমাত্রেই পাৰ্ব্বতীদর্শনের উংকটেস্থার উৎপত্তি করিল। চিরপিপাদিত শ্রবণদ্বয়ের অমনি গিরিনন্দিনীর মধুর বাণী শ্রবণ করিতে বাসনা হইল । শিবের পাৰ্ব্বতীর নিকটে গমন। এই প্রকারে অন্যান্য ইন্দ্রিয়গণও প্রক্ষুব্ধ হইয়া মহাদেবের পাৰ্ব্বতীর বিরহানল অত্যন্ত প্রবল হইয়। উঠিল। প্রমথগণকে সেইস্থানে রাখিয়া একাকী পাৰ্ব্বতীর তপঃস্থানে উপস্থিত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে বলিলেন, হে পরমেশ্বরি! তপস্যা পরিত্যাগ করুন ; জপহোম ধ্যান প্রভৃতি মহাধুল্যে আমি তোমার ক্রীতদাস হইয়াছি ; অতএব আমাকে ১ । কলাবয়বশূন্ত ব্ৰহ্ম ।