পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । ১৭ মাত্রেই একটা পুরুষকে স্বষ্টি করিয়া দেখিলেন, এ পুরুষ চৈতন্যবিহীন ; কেবল সত্ব-রজ-স্তমোমাত্র। তখন নিজ শক্তির সহিত স্বীচ্ছ সেই পুরুষে প্রদান করিলে, সেই আদি পুরুষ লব্ধশক্তি হইয়া সত্ব, রজঃ ও তমঃ, এই ত্ৰিগুণ দ্বারা একাই তিন পুরুষ হইলেন–রজোগুণে ব্রহ্মা, সত্বগুণে বিষ্ণু, আর তমোগুণে শিবনামক হইলেন । * তাহাতেও জগন্নিৰ্ম্মানের সুকৌশল না দেখিয়া, সেই পরমপ্রকৃতি ঐ ব্রহ্মাদি পুরুষত্রয়কে, জীবাত্মা এবং পরমাত্মাৰূপে, দুইপ্রকার করিলেন ; এবং সেই দেবীও স্বয়ং মায়া, পরমা, এবং বিদ্যা, এই তিনপ্রকার হইলেন । তন্মধ্যে মায়াশক্তির কার্য্য, জীবসকলকে মোহিত করিয়া সংসারে প্রবর্তন করা ; আর, পরমাশক্তির কার্য্য, সেই সংসার নির্বাহ করা । বিদ্যা শক্তি অতি নিৰ্ম্মল ; তাহার কার্য্য, তত্বজ্ঞান দ্বারা সেই সংসারের নিবৃত্তি করা । মায়ায় এবং পরম শক্তিতে আবৃত হইলেই জীবগণ অত্যন্ত বিষয়াসক্ত হইয়া সংসারসাগরের ঘোরতর তরঙ্গে ইতস্ততঃ সঞ্চালিত হয় ; আর, বিদ্যা শক্তিকে আশ্রয় করিতে পারিলেই ঐ সাগর পার হইবার বিশুদ্ধ পদবীতে পদাপর্ণ করে। ঐ প্রকৃতিৰূপ জগদ্ধাত্রী ব্ৰহ্মাদি পুরুষত্ৰয়ের অগ্রে আবিভূত হইয়া, ঐ তিন জনকে পৃথক পৃথক শক্তিযুক্ত করিয়া কহিলেন, হে পুরুষগণ . আমি জগৎ স্বষ্টি করিবার ইচ্ছায় তোমাদের তিন জুনের হষ্টি করিয়াছি ; তোমরা আমার অভিলষিত কার্য্য সকল সম্পাদম কর । এই কথা বলিয়৷ কিঞ্চিৎ পরে সেই অপূৰ্ব্বৰূপ। দেবী বলিতে