পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ অধ্যায়। 26:6; কি করিতে লাগিল, তাহার কিছুই লক্ষ্য রহিল না। এই সময়ে দেবর্ষি নারদ করুণাপরতন্ত্র হইয়া কামপত্নী রতীর নিকট উপনীত হওত কহিলেন, অনঙ্গ অঙ্গবিহারিণি ! অদ্য হরপাৰ্ব্বতীর শুভ বিবাহোৎসব উপলক্ষে ইন্দ্রাদি দেবতাগণ শিব সন্নিহিত আছেন, অতএব এই সুযোগে তুমি পতিকে পুনর্জীবিত করিতে আশু সচেষ্টিত হও । মদননিধনকালে শচীনাথ তোমাকে যে যে বাক্যে আশ্বায়িত করিয়াছিলেন, বোধ হয় একালপর্য্যন্ত তুমি তাহা বিস্মৃত হও নাই। নারদের বাক্যাবসানে মদনপ্রিয় রতী সজলনয়নে কহিলেন, দেবর্ষে ! অামার জীবন সত্ত্বে আমি কি তাহ। কদাপি বিস্মৃত হইতে পারি ? এই কথা শ্রবণ করিয়া নারদ কহিলেন দেবি ! তবে আমি এখন শিব সন্নিধানে গমন করি, তুমি সত্ত্বর তথায় গমন করিও । এই বলিয়া নারদ তথা হইতে প্রস্থান করিলেন। তৎপরে কামসীমস্তিনী রতি, নারদের পরামর্শানুযায়ী স্বীয় পতিসখা বসন্তের অনুগামিনী হইয়। শিব সন্নিধানে গমন করিতে লাগিলেন। অনন্তর নারদ তথায় উপস্থিত হইয়। মহাদেবকে যথাবিহিত বন্দনা করিলে, তিনি র্তাহাকে সম্বোধন করিয়৷ কহিতে লাগিলেন ; বৎস নারদ ! অদ্য আমার বিবাহোৎসব উপলক্ষে সকলেই আনন্দে উন্মত্তপ্রায় হইয়াছেন ; অতএব সাবধান, যেন কৰ্ত্তব্যতা বিষয়ের কোন অন্যথা না হয় । আমি স্বভাবতই বিমনায়মান থাকি, তাহাতে আবার দীর্ঘকাল সতী বিচ্ছেদজনিত শোকে আকুলিত, এজন্য যতক্ষণ আমি পাৰ্ব্বতীকে পাশ্বে সুশোভিত হইতে না দেখি,