পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তবিংশ অধ্যায় ※6t> করিৰ” । হে অমরপতে ! এক্ষণে সেই সময় ত সমুপস্থিত হইয়াছে, অতএব যথাকত্ত্বৰ্য সাধন করিয়া এ হতভাগিনী রতীর মনস্কামনা পূর্ণ করুন। এই বলিয়া অনগল নয়নাশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন । রতিকে এইৰূপ বিমনায়মান দেখিয়া ব্ৰহ্মা ও ইন্দ্র উভয়েই যৎপরোনাস্তি দুঃখিত হইয়া তৎক্ষণাৎ শিবসন্নিধানে উপস্থিত হইলেন, এবং কহিলেন, হে ভূতনাথ ! হে যোগীশ্বর ! তুমি দয়ার অাধার, করুণার উৎস, এই দেবতার সকলেই তোমার চিরগনুগত ও আশ্রিত, অতএব তাহদের প্রতি এখন একবার প্রসন্ন হইয়। বিশেষৰূপে কৃপাদান করিতে হইবে, এই বলিয়। বিরত হইলে, ভূতভাবন মহাদেব কহিতে লাগিলেন, হে দেবগণ ! ভক্তের মনস্কামনা সিদ্ধির নিমিত্ত আমার কিছুই অকৰ্ত্তব্য নাই, ভক্তের সন্তোষ হইলেই আমি পরিতুষ্ট হইয়া থাকি; অতএব এখন কি প্রার্থনা, তাহা ত্বরায় বল, অবশ্যই সম্পাদিত হইবে । এই কথা শ্রবণ করিয়া দেবরাজ কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, হে ভোলানাথ ! পূৰ্ব্বে দুৰ্দ্ধৰ্ষ তাড়কাসুর কর্তৃক যেৰূপ উৎপীড়িত হইয় ছিলাম, তাহা স্মরণ করিলে এখনও হৃদয় কম্পিত হয়, সে দুরাত্মা দেবতাদিগের প্রতি বিশেষ উপদ্রব করিয়৷ ত্ৰৈলোক্য সংক্ষুদ্ধ করিয়৷ ছিল। সে সকলকেই উপেক্ষা করিত, কেহ তাহার দৌরাত্ম সহ্য করিতে পাবিত না । তখন দৈত্যবধদ্বারা ত্ৰৈলোক্যের দুঃসহ দুঃখ অপনয়নার্থ যাবতীয় অমরগণ একত্রিত হইয়। বিধাতার শরণাপন্ন হইলেন । স্বষ্টিকৰ্ত্ত। ব্রহ্মা দেবগণকে