পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 tr মহাভাগবত । লাগিলেন, বৎস ব্ৰহ্মন! তুমি সংযত হইয়া অসংখ্য চরণচর ও বিবিধপ্রকার স্থাবর জঙ্গম স্বষ্টি কর ; পুত্ৰক বিষ্ণো ! তোমার বাহুবীৰ্য্য আছে ; তুমি এই জগতের উপদ্রব নিবারণ করিয়া পালন কর। মহাদেব ! তুমি তমো গুণ প্রকাশ করিয়া পরিশেষে এই সকল সংসার ধংস করিবে । অামার স্বষ্টি-অাদি কার্য্যে তোমরা তিন জন এই প্রকারে সাহার্য্য কর । পরে সাবিত্রী প্রভৃতি পাচ বরাঙ্গনী হইয়। তোমাদের বনিতাভাবে বিহার করিব। ব্রহ্মা সম্প্রতি মানসিক স্থষ্টি করুন ; তাহ ন হইলে, স্বষ্টির বিস্তীর্ণ ভাৰ হইবে না। • এই কথা বলিয়া পরম প্রকৃতি ক্ষণমাত্রেই অন্তহির্তা হইলেন। পরে ঐ প্রকৃতির অজ্ঞানুসারে বিধাতা স্বষ্টি করিতে আরম্ভ করিয়া, প্রথমে জল স্বষ্টি করিলে, মহামতি শস্তু সেই জলে যোগাসন করিলেন এবং পরম প্রকৃতিকে পত্নীভাবে লাভ করিবার জন্য সংযতচেতা হইয়া ধ্যান করিতে লাগিলেন । জ্ঞানদৃষ্টি দ্বারা মহাদেবের মনো বৃত্তি অবগত হইয়া বিষ্ণুও প্রকৃতির প্রাপ্তিকামনায় তপস্যা করিতে লাগিলেন। ছুই জনের তপস্যা দেখিয়া ব্ৰহ্মাও স্বষ্টি কার্য্য হইতে বিরত হইয়া তপস্তায় রত হইলেন। এইপ্রকারে তিন জনই বহুকাল তপস্যা করেন। একদ। তপস্যা পরীক্ষা করিবার জন্য পরম প্রকৃতি ভয়ানক একটি মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া প্রথমতঃ ব্রহ্মার সম্মুখে উপস্থিত হইলে, সেই ভীষণমূৰ্ত্তিদর্শনে উীত হইয়া ব্রহ্মা বিমুখ হইয়া বলি