পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায় । २४)> হস্তে পাৰ্ব্বতীকে সমপর্ণ করিলেন। বিধিবিধানে মহাদেব পাৰ্ব্বতীকে পুনঃ প্রাপ্ত হইয়া যৎপরোনাস্তি আনন্দিত হইলেন । অনন্তর গিরিপুরে মহা মহোৎসব উপস্থিত হইল । দেবতারা পূর্বমনোরথ হইয়া পরম পরিতোষ লাভ করতঃ কন্দপের প্রশংস। করিতে লাগিলেন । মহর্ষি ও গন্ধৰ্ব্বগণ পরম্পরে মিষ্ট(লাপ ও নানা প্রকার কথোপকথন করিতে লাগিলেন। কেহ কহিলেন, অহে গিরিরাজ কি ভাগ্যবানু, যিনি ইচ্ছ। মাত্রেই এই অনন্তব্রহ্মাণ্ড প্রসব করেন, যাহার কটাক্ষমাত্রে ইহা লয় প্রাপ্ত হয়, যিনি অবলীলাক্রমে এইৰূপ কোটি কোটি জগতের উৎপত্তি ও নিবৃত্তি করেন, যিনি স্বষ্টিস্থিতি ও প্রলয়ের আদ্য শক্তি, সেই পরমাপ্রকৃতি জগন্মাতা স্বীয় লীলাক্রমে কস্তাভাবে জন্ম লইয়া যাহার গৃহে অবতীর্ণ, সেই গিরিরাজাই ধন্ত, এই পাৰ্ব্বতীকে কস্তাৰূপে প্রাপ্ত হওয়া তাহার অপ পুণ্যফল নহে। আর গিরিজায়। মেনকারও সৌভাগ্যের তুলনা হয় না। নতুবা জগন্মাতার গৰ্ব্বধারিণী ও প্রসবকারিণী জননীই বা কিপ্রকারে সম্ভব হইবে ? যাহা হউক, বাক্যমনের অতীত সেই প্রভাবশালী মহেশ্বর, যাহার অনিৰ্ব্বচনীয় ৰূপ কেহই অবগত নহে, সেই মহাদেব যাহা দের জমিতা, তাহদের সৌভাগ্যের কথা কে বলিতে পারে ? এইৰূপে অনেকেই অনেক প্রকার প্রশংসাজনক বাক্যে সন্ত্ৰীক গিরিরাজার বহুপুণ্যের বিষয় আলোচনা করিতেছেন, এমন সময় গিররাজা বিচিত্র সিংহাসনোপরি