পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়। ২৭১ তিনি ব্যগ্র হইয়া মহারাজের অজ্ঞাপেক্ষায় দ্বারদেশে দণ্ডায়মান আছেন, আপনার আজ্ঞা শ্রবণ মাত্রেই এখানে আগমন করিবেন, এই বলিয়া সে তথা হইতে গমন করত মেনকাকে আদ্যোপান্ত সমস্ত নিবেদন করিল। রাণী, শ্রবণমাত্রে অতিমাত্র ব্যগ্র হইয়া পুরবাসিনী সমভিব্যাহারে তথায় উপনীত হওত রপাৰ্ব্বতীর সেই যুগলৰূপ দর্শন করত সকলেই চরিতার্থ হইলেন । আনন্দাশ্রনরে মেনকার বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইতে লাগিল এবং তিনি গিরীন্দ্রকে জিজ্ঞান করিলেন, রাজন ! তবে এখন বরকস্তাকে অন্তঃপুরে লইয়া যাই ? তখন গিরিনাথ, প্রেমাশ্রনয়নে মস্তকসঞ্চালন দ্বার সঙ্কেতে অনুমতি প্রদান করিলে, সহচরীগণ কেহ শঙ্খ ও কেহ হুলুধনি করিতে লাগিল । কেহ বা সুবর্ণ ভৃঙ্গার লইয়া অগ্রে অগ্রে জলধারা সেচন করত বরকস্তার গমনপথ পবিত্র করিতে লাগিল । মেনকা, উমাকে ক্রেগড়ে লইয়া কিঞ্চিদগ্রে ও মহাদেব তৎপশ্চাতে ধীরে ধীরে গমন করিতে লাগিলেন, এবং সৰ্ব্ব শেষে গিরীন্দ্র পরিপূর্ণানন্দ মনে অন্তঃপুরে প্রবিষ্ট হইয়া সুসজ্জীভূত প্রশস্ত এক গৃহমধ্যে লইয়া সুখাসনে শিবদুর্গাকে উপবেসন করাইয়া নানাপ্রকারে স্তব স্তুতি করিতে লাগিলেন । গিরিরাজ কর্তৃক শিবস্তব । হে অনাদিনাথ! তুমি এই বিশ্বের আদি কারণ, তোমার কটাক্ষ মাত্রে জীবের অসাধ্য কৰ্ম্মও মুসাধ্য