পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চত্রিংশতমোধ্যায় । গণেশের জন্ম ও তাহার গজ-মুখ-ধারণ। ব্যাসদেব কহিতে লাগিলেন । অনন্তর এক সময়ে ভব, ভবানীসহ বিহার মানসে আত্মমন্দিরে পুত্রকে সংস্থাপন করিয়া ধরণীতে আবিভূর্ত হইলেন। সেখানে গরম রম্য কানন দেখিতে পাইয়া বিচিত্র নগরী নিৰ্ম্মাণ করিয়া উমাসহ অবস্থান করিতে লাগিলেন । অনন্তর কোন সময়ে মহাদেব, মন্দিরে দেবীকে সংস্থাপন করিয়া বনপুষ্প আহরণেদেশে প্রমথদিগের সহিত গমন করিলেন । সেখানে বহুল কুসুম চয়ন করিয়া কাননে কাল বিলম্ব করিতে লাগিলেন। হে মুনিপুঙ্গব ! এমন সময়ে পাৰ্ব্বতী, গাত্রে হরিদ্র লেপন করিয়া অবগাহন-কারণ, গমনে উদ্যত হইলেন । সে সময়ে বিশ্বসংসারের রক্ষাকারিণী ভবানী, পুরদ্বার রক্ষা বিষয়ে চিন্তা করিতে লাগিলেন । তদনন্তর, (ভগবান ) বিষ্ণুর মানস স্মরণ করিয়া নিজগাত্রস্থ হরিদ্রা-লেপন লইয়া এক সন্তান স্থষ্টি করিলেন । তিনি লম্বোদর, মহাবাহু, তাহার চতুৰ্বদন, চতুভুজ তিন নেত্র, শরীর রক্তবর্ণ, এবং তাহার প্রভা মাধ্যাহিক শতস্তুর্য্যের ন্যয় । (এই ৰূপে ) পরম পুরুষ ভগবান নারায়ণ গণের ঈশ্বর হইয় পুত্ৰৰূপে আবির্ভূত হইলেন। তদনন্তর ভগবতী, ঈষদ্ধান্ত পূৰ্ব্বক সন্তানকে স্তষ্ঠ পান করাইয়া হে পুত্র ! যে কাল পর্য্যন্ত আমি অবগাহন করিয়া পুনঃ পুর-প্রবেশ না করি, তাবৎ তুমি