পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভাগবত । * ه ۵۰ আমার এই পুরী রক্ষা কর, এই কথা বলিয়া সত্বরগমনে স্নানকরণার্থ গমন করিলেন। (এদিকে ) শিশুও পুরদ্বারে স্থিতি করিয়! জনননীর অজ্ঞ পালন করিতে লাগিলেন (ওদিকে) দেবদেবও বানান্তর হইতে আগমন করিয়া পুরদ্বারে উপস্থিত হইয়া সেই বালককে দেখিতে পাইলেন। (পুর-রক্ষক) উমানন্দন, দেবদেবের পুর-প্রবেশ-কালে বেগে ত্রিশূল ধারণ পূৰ্ব্বক তাহার প্রবেশ বিষয়ে বাধা জন্মাইয়া দিলেন। শূলপাণি, তাহকে শূল ধারী দেখিয়া রোষাবেশে জ্বলিতানল হইয়া উমা সুত না জানিয়া অকস্মাৎ তাহার প্রতি নিজ শূল ক্ষেপণ করিলেন । শূলপাণির সেই অমোঘ শূল, ক্ষিপ্ত মাত্রেই সহসা শিবসুতের শিরশ্চিন্ন করিল। পাৰ্ব্বতী-নন্দন, চ্ছিন্নশিরা হইয়াও প্রাণচু্যত হইলেন না । এবং শিবশুলও শিবসুত জানিয়া তাহার প্রাণ গ্রহণ করিল না। এমন সময়ে সুরেন্দ্ৰবন্দিনী গিরীন্দ্রনন্দিনী ভবানী, অবগাহন সমাপন করিয়া সর্থীজন পরিবেষ্টিত হইয়া উপস্থিত হইলেন। হে মুনিসত্তা ! তিনি সন্তানকে শিরঃশূন্ত দেখিয়া সংক্রস্ত হইয়া দেবদেবেশ শুলীকে এই কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। হে ত্ৰিদশশ্রেষ্ঠ ! কোন ব্যক্তি পুরদ্বার রক্ষক এই সস্তানের মস্তক ভস্মসার করিল, আমাকে অবগত কর । গিরিশ কহিতে লাগিলেন । হে পৰ্ব্বতনন্দিনি ! ইহাকে তোমার সন্তান বলিয়। আমি জানিতাম না । (মদীয়) পুরপ্রবেশ-কালে আমার পথ রোধ করিয়াছিল বলিয়া আমি উহার শিরঃ ভস্মসার করিয়াছি। তদনন্তর পাৰ্ব্বতী, রোষাবিষ্ট হইয়া মহাদেবকে ক্ষণ