পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

teశ్రీ মহাভাগবত্ত । আজ্ঞানুবৰ্ত্তী হইতেন । হে মুনে ! তদনন্তর দেবতাগণ, রাবণকর্তৃক প্রপীড়িত হইয়া পৃথ্বী সমভিব্যাহারে ব্রহ্মার নিকটে উপনীত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে উহাকে বলিতে লাগিলেন, হে প্রভো ! ব্রহ্মন জগন্নাথ ! দুৰ্বত্ত পৌলস্ত্য আপনার বরলাভে দপিত হইয়া ত্রিলোককে কম্পিত করিতেছে । ( অধিক কি বলিব ) অবনী তদীয় ভার-বহনে অসমর্থ হইয় আপনার নিকটে অবিভূতি হইয়াছে ; হে দেব ! এক্ষণে আপনি সেই (ত্রিলোক-কণ্টক ) দুরাত্মার বধোপায় চিন্তা করুন। দেবগণ এই কথা বলিয়া বিরত হইলে, স্বয়ম্বু তাহাদিগকে সমাশ্বাসিত করিয়া ত্ৰিদশ-সমুহ সমভিব্যাহারে বৈকুণ্ঠে বৈকুণ্ঠনাথের নিকটে উপনীত হইয়। বলিতে লাগিলেন । হে ত্ৰিজগতের নাথ বিশ্বপালক । এক্ষণে বিশ্বপালনে তৎপর হও । দশস্কন্ধর নিশাচরাধিরাজ লঙ্কাপুরে আবির্ভূত হইয়া অতিশয় দুৰ্দ্ধৰ্ষ হইয়াছে ! হে জগৎ-পতে ! জগৎপীড়ক সেই রাবণকে বিনাশ করিবার জন্য মানব দেহ অগ্ৰিয় কর । যে সময়ে দশ নন, তপস্যা দ্বারা আমাকে প্রসন্ন করিয়া স্বাভিলষিত বর প্রার্থনা করে, সেই সময়ে মোহ প্রযুক্ত নর ব্যতিরেকে অন্য সকলের অবধ্য বর আমার নিকট হইতে লাভ কfরয়ছে। হে জগৎ-পতে ! নরজাতি রাক্ষস জাতির ভক্ষ্য, সেই কারণ ভক্ষ্য জাতি মনুষ্যকে ঘৃণা করিয়া নর বাতিরেকে যাবতীয় জন্তুর অবধ্য এই বর লাভে দশস্কন্ধ বাধিত হইয়াছে। হে বিশ্বপালক ! এক্ষণে তুমি মনুষ্য ৰূপে অবতীর্ণ হইয়া দেবকণ্টক দুৰ্বপ্ত রক্ষেীরাজকে পুত্র পৌত্ৰাদি