পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৩

Woeby মহাভাগবত । নিখিল সংসার নাশ করিতে থাকে, তাহ হইলেও অমর। তাহার কি করিতে পারি ! ব্ৰহ্মা কহিতে লাগিলেন, হে জগন্নাথ ! সত্যই সেই দুরাত্মা দশানন, দুর্গাভক্তিপরায়ণ হইয়৷ পৃথিবীতে পরাজয়ী হইতেছে না। কিন্তু এৰূপ হইলেও হে ভগবন্‌ ! সেই ত্রিলোকবাধক রাবণের বিনাশের উপায় অবধারিত আছে। হে প্রভো ! এই চরাচর জগন্মণ্ডল জগজ্জননীর আশ্রয়ে অবস্থান করিতেছে । সেই সুরেশ্বরী, কালে স্বষ্টি করিয়া থাকেন, এবং কালে পালন করিয়া থাকেন। হে জগৎপতে ! কালের (১) সেই দুৰ্বত্ত বধের ইচ্ছা হয় নাই । তুমি আমি, বা মহেশ্বর, স্বষ্টি, স্থিতি ও লয়ের নিমিত্ত মাত্র। বাস্তবিক, আদ্যাশক্তি ব্রহ্ম স্বৰূপিণীই স্বষ্টি-স্থিতি-সংহারের প্রকৃত কারণ । হে ত্রিলোকেশ ! আমরা ও সকল দেবতাগণু র্তাহারই মুর্ত্যন্তর মাত্র ; আমরা বিদ্বেষী (২) বলিয়া সেই রক্ষণকত্রী আমাদিগকে রক্ষণ করেন না । শ্ৰীভগবান কহিতে লাগিলেন, হে বিধে ! সে দুরাচার লঙ্কেশ্বর-বিনাশোদেশে কৈলাশশিখরবিহারিণী কাত্যায়নীর নিকটে প্রার্থনা করিবার নিমিত্ত, চল আমরা কৈলাসশিখরে তোমার সমভিব্যাহারে গমনকরি, হে মুনিসত্তম! এই কথা বলিয় তাহারা সত্বর যে খানে জগদ্ধাত্রী শঙ্করী শঙ্করের সহিত বিরাজিত আছেন, সেই কৈলাসপুরী অভি ১ । কাল পূর্ণ না হইলে জীবের মৃত্যু হয় না । । ২ । আদ্যশক্তি, স্বষ্টি, স্থিতি ও লয় করিয়া থাকেন। আমরা নিমিত্ত মাত্র বলিয়া অভিমানী ; সুতরাং সেই শক্তি ভিন্ন রাবণ বধ করিবার অর কাহারও শক্তি নাই ।