পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট ত্রিংশ অধ্যায় । \ আমি কি প্রকারে তাহাকে হনন করিব, বলুন । যে ব্যক্তি, তোমার আরাধনা ও স্মরণ করিয়া থাকে, হরি এবং হর আমরা উভয়ে আয়ুধ গ্রহণপূর্বক তদনুবৰ্ত্ত হইয়। মহদ্বিভীষিকা হইতে তাহাকে রক্ষা করিয়া থাকি। অতএব, হে শিৰে ! সংগ্রাম-সময়ে তোমার স্মরণকারী ভক্ত দশাননকে রক্ষা না করিয়া কিৰূপে নিপতিত করিব, বলুন ! । শ্ৰীভগবতী বলিতে লাগিলেন, হে মহাবা:ে সত্য বটে, যুদ্ধকালে যুদ্ধতুৰ্ম্মদ দশানন আমাকে স্মরণ করিবে, কিন্তু ভাহা হইলে যে বীপে তাহার মৃত্যু সঙ্ঘটন হইবে, ভাহা শ্রবণ কর । এই ( দৃশ্বমান ) বিশ্ব সংসার আমাকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে, আমি জগৎ-ৰূপিণী, সুতরাং জগৎকে পীড়িত করিলে, আমিও পীড়িত হইয়! থাকি । যে ব্যক্তি এই প্রকারে সংসারকে ব্যথিত করিয়া সঙ্কটে আমার শরণাপন্ন হয়, যদি ও তাহীর ঐহিক ফল প্রাপ্তি অর্থাৎ সুখ ভোগ হয় না, কিন্তু পরকালে তাহার প্রকৃত ফল লাভের কোন ব্যাঘাত থাকে না । যে ব্যক্তি জগতের কণ্টক না হইয়া ভক্তিভাবে আমার অনুধ্যান করে, অামি তাহাকে ইহ ও পরকালে নিয়ত রক্ষা করিয়া থাকি । হে মহামতে ! ( এমন কি ) তোমরা ও সেই ভক্তকে পরিত্যাগ করিতে পার না, সতত রক্ষার্থ যত্ন করিয়া থাক। যদি, সেই ব্যক্তি কখন কোন সঙ্কটে, পতিতও ভীত হইয়া আমাকে স্মরণ করে, তাহার অন্ত ফলের কথ। কি বলিব, দেবদুলভ মোক্ষ ফল সদৃশ ফল লাভ হইয়া থাকে। সে ব্যক্তি ইহ লোকে অভিলাষানুযায়ী ফল লাভ করিয়া মন-মুখে 80