পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্ট্র ত্রিংশ অধ্যায় । \、R> রোদন করিতে করিতে যে খানে ভ্রাতা খরদূষণ অবস্থিত আছে, ভীমৰূপিণী ক্রুরা রক্ষনী যেই খানে উপস্থিত হইয়া (সহোদরকে ) সমুদায় বৃত্তান্ত অবগত করাইল । শূৰ্পণখা কহিতে লাগিল, দণ্ডকারণ্যে শু্যামবর্ণ দুৰ্ব্বাদলের স্যায় প্রভাবিশিষ্ট অযোধ্যধিপতি রামচন্দ্র অনুজের সহিত অবস্থিতি করিতেছেন ; তঁ হার এক রমণীরত্ব সমভিব্যাহারে আছে। সেই সুন্দরী যেৰূপ সৌন্দর্য্যশালিনী; সেন্ধপ ৰূপ-লাবণ্যবতী রমণী স্বর্গ, মৰ্ত্ত, বা পাতালে কেহ কখন দেখে নাই ; সাক্ষাৎ করা দুরে থাকুক, কখন কাহার শ্রীতিগোচরও হয় নাই । আমি তোমার জন্য সেই স্ত্রীরত্বগ্রহণে গমন করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহার অনুজ আমার নাসা কর্ণচ্ছেদ করিয়াছে ; এক্ষণে আমি তোমারই শরণাপন্ন হইলাম । ব্যাসদেব কহিতে লাগিলেন, ভগিনীর মুখে এই কথা শ্রবণ করিয়া চতুর্দশ সহস্র রক্ষস-সৈন্ত-পরিবৃত হইয়া খরদুষণ, কানন-মধ্যে যেখানে রঘুনন্দন বিরাজ করিতেছেন, সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন । রামচন্দ্র, সমাগত নিশাচরদিগকে শরসমূহ নিক্ষেপ পূর্বক নিহত করিলেন । হে মহামতে ! (তদর্শনে ) শুপর্ণখা শোকবিহবল হইয়া লঙ্কা প্রতিগমন পূর্বক রাবণকে যথা বৃত্তান্ত বর্ণন করিল। দশানন, ভগিনীমুখে সীতার অপৰূপ ৰূপ-মাধুর শ্রবণ করিয়া কালদপে দপিত হইয়া সীতাহরণে কৃতসংকল্প হইল। এবং তাড়কানন্দন মারীচ নিশাচরকে সমভিব্যাহারে লইয়া পঞ্চবটীতে উপনীত হইল। নিশাচর