পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একচত্তারিংশ অধ্যায় ט\טd: হইয়া যুদ্ধে রাবণের যে প্রকার বাহুবলের প্রভাব জানিতে পারিয়াছি ; ত্রিভুবন মধ্যে কখন কাহার সে প্রকার বীরত্ব দেখি নাই । সম্প্রতি, শুনিলাম সেই দুৰ্ব্বত্ত দশাননের সহোদর মহাবলপরাক্রান্ত কুম্ভকৰ্ণ পঞ্চকোটা লক্ষ রাক্ষসী-সেনা সঙ্গে করিয়া সংগ্রাম করণার্থ উপস্থিত হইয়াছে । ( এবং ) সেই দুষ্টও সহোদরের সাহায্যনিবন্ধন অমাবই সহিত যুদ্ধারম্ভ করিবেক, শুনিতেছি। আমি, সুহৃদ বিভীষণের মুখ হইতে তাহার বলবীর্য্যের কথা শ্রবণ করিয়া শঙ্কিত হইয়াছি, এক্ষণে যহাতে সংগ্র মে তাহকে পরাস্ত করিতে পারি, তদুপায় অবধারণ কর! বেদব্যাস কহিতে লাগিলেন । লোকপিতামহ ব্রহ্ম। রামচন্দ্র কর্তৃক এই প্রকারে কথিত হইয়। সকল দেবতাদিগের সাক্ষ তে তাহাকে সন্থনা করিয়া কহিতে লাগিলেন, হে কমলাপতে ! তোমার কোন বিষয়ই অবিদিত নাই ; হে জগন্নাথ ! তথাপি সংগ্রাম বিজয়ার্থ আমাকে যে প্রকার জিজ্ঞাসা করিলে, বলিতেছি শ্রবণ কর । যে দেবী ত্ৰৈলোক্যের জননী, যিনি প্রথমাবধি ব্ৰহ্মৰূপিণী, সেই মহাভয় নিবারিণী কাত্যায়ণীই তোমার আরাধনীয়। তিনি স্বয়ং অপরাজিত হইয় ও সৰ্ব্বলোকের জয় প্রদান করিয়া থাকেন । হে মহাবাহো । শঙ্কটতারিণী সেই তারিণীর শরণাপন্ন হও। হে শক্ৰ সুদন ! তাহার প্রসন্নতা ব্যতিরেকে সংগ্রামে রাবণাদি মহাবলবানু নিশাচরদিগকে জয় করিতে সমর্থ হইবে না।