পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)やア মহাভাগবত । দেবী বলিয়াছিলেন, হে নারায়ণ ! তুমি সংগ্রামকালে সৰ্ব্বদা আমার শরণ গ্রহণ করিবে । (তাহা হইলে) যে সময়ে লঙ্কেশ, লক্ষীশ মানবমূৰ্ত্তি তোমার সহিত যুদ্ধারম্ভ করিবে, সে সময়ে তাহার ক্ষিপ্ত সুদরুণ শর সকল তোমার কলেবর ভেদ করিতে সমর্থ হইবে না এবং তাহার প্রচণ্ড পরাক্রম দর্শনে তোমার অন্তঃকরণে কোন প্রকার আশঙ্কাও উপস্থিত হইবেক না, তুমি, অকালে লঙ্কাপুরে আমার বিধিবৎ অৰ্চনা করিয়া মদীয় অনুগ্রহবলে বীৰ্য্যবান দশাননকে সংগ্রামে নিপতিত করিবে । ব্রহ্মা বলিলেন, হে রামচন্দ্ৰ ! তুমি রাবণবিজয়ে অভিলাষী ও কৃতনিশ্চয় হইয়াছ ; অতএব এ সময়ে জয়দায়িনী দেবীর শরণাপন্ন হইয়া সংগ্রামানুষ্ঠান কর । মুনিপ্রধান তোমার দীক্ষাগুরু বশিষ্ঠদেব তোম কে যে মন্ত্র প্রদান করিয়াছেন, এক্ষণে সেই গুরুদত্ত দিব্যমন্ত্র স্মরণ কর এবং সংগ্রামে রাক্ষসেন্দ্রকে বন্ধুবর্গের সহিত নিপতিত কর । হে রঘুনন্দন! এক্ষণে মহাদেবীর পূজা-করণার্থ যত্নবান্‌ হও ; (নিশ্চয় জানিও । তঁ হার প্রসন্নতা ভিন্ন কখনই তুমি সংগ্রামে কৃতকার্য্য হইতে পারিবে না শুক্লপক্ষ সমাগত দেখিয়া লঙ্কেশ্বর যদি সুরেশ্বরীর পূজা করে, তাহা হইলেও তাহার নিশ্চয়ই মৃত্যু সংঘটন হইবেক । অতএব হে রাঘব ! তুমি রাক্ষসবংশ-দ্বংশ-করণার্থ সত্বর মহামায়ার, অর্চনায় প্রবৃত্ত হও । অনন্তর ব্রহ্মার বচন শ্রবণ করিয়। রামচন্দ্র, তদ্বাক্য লোকদিগের উপদেশ দিবার জন্য ইহা জানিয়াও র্ত হকে এই কথা বলিতে