পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিচতুরিংশ অধ্যায় । \לאס\כ লাগিলেন ; হে ব্ৰহ্মন! সেই দেবী পরংপর ; এবং তিনি ভক্তের জয়প্রদায়িনী, যে ব্যক্তি জয় কামনা করিয়৷ র্ত হাকে স্মরণ ও র্তাহার অর্চনা করে, তাহার জয়লাভ করাগ্রস্থিত । কিন্তু এক্ষণে সেই দেবীর অর্চনাবিধির সুসময় নহে। সম্প্রতি সেই সত্যসনাতনী ত্ৰিদশেখরী নিদ্রিতাবস্থায় কালাতিপাত করিতেছেন। হে পিতামহ । বিশেষতঃ এক্ষণে কৃষ্ণপক্ষের সঞ্চার হইয়াছে, অতএব কি প্রকারে নিদ্রিত মহাদেবীর অর্চনা করি । ব্রহ্মা কহিতে লাগিলেন, হে রাঘব ! আমি সংগ্রামে তোমার বিজয়লাভোদেশে সেই নিদ্রাচ্ছন্ন অচৈতন্য দেবীর চৈতন্য সম্পদন করিব । তাহা হইলে রাক্ষসেন্দ্র দশাননের বধ-সাধন সম্পন্ন হইবেক । আমি নিশ্চয়ই বলিতেছি যে অকালেও মহামায়ার অর্চনা করিব, এবং তাহা হইলেই তুর্জয় শক্রকে অনায় সে জয় করিবার জন্য তোমাকে চিন্তিত হইতে হইবেক না । ব্রহ্মার বচনাবসানে ভগবান রামচন্দ্র ৰ্ত হাকে কহিতে লাগিলেন, হে পিতামহ ! ভাপনার পুত্র বশিষ্ঠদেব আমার কুলগুরু, আপনি তাহার পিত। সুতরাং পরম গুরু, অতএব আপনি চণ্ডিকার প্রীতিসাধনার্থ পুজোপবিষ্ট হইলে, আমাকে জয়লাভের জন্য ভাবিতে হয় না এবং তাহ হইলেই আমি যুদ্ধগমনে উৎসাহান্বিত হইতে পারি ; কিন্তু অন্তঃকরণে এই আশঙ্কার আবির্ভাব হইতেছে, যে যদি দশানন কর্তৃক. জয়লাভার্থ সংপূজিত হইয়া পাৰ্ব্বতী প্রীতিলাভ করত তাহকে অভীষ্ট বর প্রদান . করেন, তাহা হইলে উগ্রবিক্রম রক্ষসেশ্বরকে