পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W38● মহাভাগবত । সংগ্রামে কি প্রকারে পাতিত করিতে পারি, বলুন। ব্রহ্ম। বলিতে লাগিলেন, হে ভগবন! ভগবতী আদেশ করিয়াছেন, যে তোমার হস্তেই সেই ফুরাচারের মৃত্যু নিশ্চিত সংঘটিত হইবেক । যদি তোমার আরাধনায় প্রীতি হইয়াও সৰ্ব্বানী তাহাকে মনোমত বর প্রদান করেন, তথাপি তোমার জয়লাভ ঘটিবেক । সেই পাপাচণর যে সময়ে পতিব্ৰতা সাক্ষাৎ লক্ষীস্বৰূপিণী সীতাকে দেবীর অন্য মুৰ্ত্তি অবগত না হইয়া রমণ-বাসনায় লোভপ্রযুক্ত বলাধীন হইয়া হরণ করিয়াছে, সেই সময়েই বিবেকবিহীন সেই দুরাত্মার উপর কৌষিকীর কোপসঞ্চার হইয়াছে, তিনি এক্ষণে বিপত্তিৰূপে তদীয় পুরমধ্যে অবস্থান করিতেছেন। যেখানে সাক্ষাৎ ধৰ্ম্ম বিরাজমান, যেখানে প্রশান্ত অন্তঃকরণ, সেই খানে শ্রী ও কান্তি অবস্থান করে ; যেখানে তদ্বিপরীত অর্থ ও অধৰ্ম্মের আবির্ভাব, সেখানে শান্তমূৰ্ত্তিধারিণী শিবা উগ্র অর্থাৎ বিপত্তিদায়িকা মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া থাকেন । যে ব্যক্তি অহঙ্কারের অাশ্রয় গ্রহণ পূৰ্ব্বক ধৰ্ম্মকে অতিক্রম করে, শিবশক্তি তাহার দপশক্তি নষ্ট করিয়া থাকেন । হে রঘুবংশাবতংস ! আমার নিকট হইতে শ্রবণ কর, আমি এ বিষয়ের একটা প্রাচীন ইতিহাস তোমার নিকটে বর্ণনা করি। ইহা মহাদেবী মদীয় পুরোভাগে বর্ণন করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে আমারও পঞ্চাননসদৃশ আর পঞ্চ বদন ছিল । হে রঘুনন্দন ! আমি এক সময়ে রেষাবেশে অহংকুতি নিবন্ধন মহাদেবকে কঠোর বাক্যপ্রয়োগ করি