পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিচতুরিংশ অধ্যায় । ৩৪১ য়াছিলাম, তাহাতে রোষারক্তনয়নে পঞ্চানন অকস্মাৎ আমার পঞ্চম শিরশিন করিলেন । তদনন্তর আমি চতুবদন ধারণ করিয়া এক দিন ভগবান নারায়ণ সমভিব্যাহারে সুরেশ্বরী সন্নিধানে তদীয় পুরে প্রবেশ করিলাম। মহারুদ্র সেখানে উপস্থিত ছিলেন । আমি, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তিন জনে মিলিত হইয়া তৎক্ষণাৎ মহাদুগর্ণর সমীপদেশে উপস্থিত হইলাম এবং উপস্থিত হইযই ত্রিলোকের নমস্যা দেবীকে নমস্কার করিয়া শস্তুর সাক্ষাতে ত্ৰিদশে শ্বরীর নিকটে মদীয় শিরশেদের বিষয় বলিতে আরম্ভ করিলাম এবং কহিলাম, হে ত্রিলোকপালনি জননি ! আমি ত্বদীয় অনুগ্রহদপে বিরাজ করিয়া থাকি, কিন্তু এই শস্তু সুরসভা মধ্যে আমাকে নিগ্ৰহ করিয়৷ আমার পঞ্চম শিরশ্চিম করিয়াছেন, হে ত্রিলোকবন্দিতে জগজ্জননি ! আমি এমন কি, গুরুতর দোষে লিপ্ত হইয়াছি, যে শিব আমাকে শূন্যশিরঃ করেন । অনন্তর অমর এইপ্রকার কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়া প্রফুল্ল পঙ্কজের ন্যায় প্রফুল্লবদন জগদম্বিকা অামাকে এই কথা বলিলেন, হে বৎস! জীবগণের কৃত কৰ্ম্ম সকল শুভাশুভসূচকমাত্র । কেবল আমিই জীবদিগের শুভাশুভ কৰ্ম্মের ফল প্রদান করিয়া থাকি। আমি ব্যতিরেকে অন্যের কোন প্রকার ফল বিধানের অধিকার নাই। যে যে প্রকার শুভ বা অশুভ কাৰ্য্যানুষ্ঠান করে, সে তদনুযায়ী ফলভাগী হইয়া থাকে, এ বিষয়ের অন্যথা ভাব দৃষ্ট হয় না । যাহার যেরূপ সুকৃতি সে সেইপ্রকার ফললাভ করিয়া থাকে।