পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७8९ মহাভাগবত । ছুঙ্কিয়াশালী কখনই সুফললাভের এবং মুকুতিবান ব্যক্তি কখনই কষ্টভোগের অধিকারী হয় না। তুমি, অত্মকস্তা সন্ধ্যাকে সনদর্শন করিয়া কামে বিমুগ্ধমনা হইয়া মনে মনে যেৰূপ অভিপ্রায় করিয়ছিলে, তদনুযায়ী ফলও লাভ করিয়াছ । হে বিধে ! শিবের ক্রোধ এ বিষয়ের নিমিত্ত মাত্র । বাস্তবিক, তোমার কৰ্ম্মের পক্ষে এই সুনিশ্চিত ফল । যে ব্যক্তি আপনার কন্যাকে দেখিয়া অন্তঃকরণে কামচিন্ত করে, তাহার শিরশিল্প হইয় থাকে । অতএব, তোমার শিরশেদন বিষয়ে শিবের কিছুমাত্র দোষ সংলক্ষিত হইতেছে না। সাক্ষাৎ কৰ্ম্মের ফলবিধ ত্রী অধিষ্ঠাত্রী আম কর্তৃক এই প্রকার সংঘটিত হইয়াছে । আমি, ত্রিজগৎ মধ্যে একমাত্র নিয়ন্ত্রী, জগৎ আমার নিয়মাধীন, ইহার অন্য নিয়ন্ত কেহই নাই। হে ব্ৰহ্মন অগ্নিই তোমার পঞ্চম বদন ; ত হাতে হোম করিলে সুরগণ তৃপ্তিপূর্বক হবা গ্রহণ করিয়া থাকেন। তদনন্তর সুরসত্তম ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তিন জনে মিলিত ও ভক্তিভরাবনত হইয়। দণ্ডের দ্য য় ভূমিতে পতিত হইয়। জগদ্ধাত্রীকে স্তব করিতে লাগিলেন এবং বলিলেন, হে মাতঃ ! হরি, হর ও ব্রহ্ম পুরুষ-দেহধৃক আমরা সকলেই তোমার শরীর হইতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি ; পুনৰ্ব্বার অাবার তদীয় কলেবরে লয় প্রাপ্ত হইব, কিন্তু তুমি জন্ম-মৃত্যু-বিবর্জিত অর্থাৎ তোমার জন্ম ও মৃত্যু নাই। আমরা তোমার অতি আশ্চর্য্য প্রকার প্রাচীন মহিমার কণামাত্রও অবগত নহি । অতএব কি প্রকারে