পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ মহাভাগবত । বলিলেন, বৎস! তুমি স্বয়ং কৃতার্থ হইয়াছ ; এবং আমাকেও কৃতাৰ্থ করিয়াছ ; এক্ষণে নিজ অ্যালয়ে গমন কর । পিতার অজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া, দক্ষ প্রজাপতি দ্রুতপদে নিজ অ্যালয়ে গমন করিয়া অমাত্যবন্ধুবর্গের আনন্দোৎপাদন, এবং স্নান ভোজন সমাপন, করত নির্জনে আসনে উপবিষ্ট হইয়া নিজ পত্নী প্রস্তুতকে বলিলেন, প্রিয়তমে ! তুমি শুদ্ধাচারিণী এবং নিতান্তপতিপ্রাণ" ; অদ্যাবধি সংযত-চিত্ত হইয়। ব্ৰত ধারণ কর; এবং যাহাতে পতির মনোভিলাষ পরিপূর্ণ হয়, সৰ্ব্বদা তাহাই অভিলাষ করিবে । এই কথা শুনিয়া দক্ষপ্ৰনয়িণী প্রস্তুতি কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, জীবিতনাথ ! আপন হইতে অধিক পূজা, ত্রিলোকের মধ্যে আমার আর কেহ নাই। স্ত্রীজাতির পতিই দেবতা এবং গুরু ; পতির সমান সুখমোক্ষদাতা চরাচরে আর দৃষ্টিগোচর হয় না ; অতএব আপনি আমাকে যেপ্রকার অজ্ঞা করিবেন, আমি কণ্ঠাগতপ্রাণ পৰ্য্যন্ত তাহ। সম্পন্ন করিতে যত্নবতী হইব । -- প্রজাপতি প্রিয়তমার এই বাক্যে সন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন, পতিত্ৰতে ! যেৰূপ আমার মনোবাঞ্ছা পরিপূর্ণ হইলে, আমি কৃতাৰ্থ হইব, সেইৰূপ তুমিও নিজ পিতৃকুল পবিত্র করত পবিত্রয়া হইয়া উৎকৃষ্ট রমণীগণের মধ্যে অগ্রগণা হইবে, এবং তোমার নাম নিৰ্ম্মলা কfওঁর সহিত ত্রিলোক মধ্যে চিরস্মরণীয় থাকিবে । এই কথা বলিয়া' তাহারা উভয়ে ব্রতধারণ করিলে, কিয়ৎকাল পরে প্রস্থতির গৰ্বসঞ্চার হইল। এক দিবস