পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় ፶ጫ অন্তঃপুরপ্রবেশসময়ে দূর হইতে নিজ কান্তার লাবণ্য দর্শন করিয়া, দক্ষ প্রজাপতি বিস্ময়াপন্ন হইয়া চিন্তু করিতে লাগিলেন ;– আহে ; একি অপৰূপ ! ব্রতোপবাদে প্রেয়সীকে নিতান্ত কৃশাঙ্গা এবং মলিনা দেখিতাম, কিন্তু এক্ষণে ( ইহাকে ) নিষ্কলঙ্ক শশাঙ্কখণ্ডের স্যায় বোধ হইতেছে ইঙ্গার কারণ কি? আমার কি মতিভ্রংস হইল ; না নয়নেরই কোন দোষ উৎপন্ন হইল ? না, না ; আর সকলকে পূৰ্ব্বমত দেখিতেছি; কেবল প্রণয়িনীকেই অপূৰ্ব্বৰূপ দেখিলাম। বিবে চনা হয়, গৰ্বসঞ্চার হইয়া থাকিবে । জগদল্পিকার অধিভাব ব্যতিরেকে এই ত্রিলোকবিজয়ি সৌন্দৰ্য্য কি প্রকারেই বা,ঘটিতে পারে? দেখি দেখি, জিজ্ঞাস করিলে জানিতে পারিব । এই চিন্ত করিতে করিতে র জ। আপনার শয়নভবনাভিমুখে গমন করিলেন। ক্রমশঃ শয়নাগারে প্রবিট হইলে পর পরিচারিকগণ রাজদর্শনে কিংক ব্যবিমূঢ় ও ব্যগ্র হুইয়া, কেহ সিংহাসন, কেহ পাদপাঠ, কেহ পুষ্পকন্দুক, কেহ তাস্ক,লকরষ্ক অগ্রসর করিয়া দিল । ইত্যবসরেই কোন দামী বাহিরে আগমন করত সঙ্কেতঘণ্টা সঞ্চালন করিলে, সেই ঘণ্টারবশ্রবণমাত্রেই ব্যজনাকর্ষক ব্যজনরজ্জ গ্রহণ করিল । রাজ্ঞী সত্বরে শয়নাগারে প্রবেশ করিয়া স্মিতাবলোকনপূর্বক অৰ্দ্ধ বদন আচ্ছাদন করত রাজপাশ্বে দণ্ডায়মান হইলেন। রাজা প্রেয়সীর মুখাবলোকনে অনিৰ্ব্বচনীয় সন্তোষ লাভ করত প্রেমভরে পুলকিতকলেবর হইয়া,পাশ্বে বসাইয়া কহিলেন, প্রিরে! আমি রাজ