পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনপঞ্চাশৎ জধ্যায় । oՊՋ করিয়া ৰলিতে লাগিলেন, হে ঈশনি ! তুমি কৃপা করিয়া আমার সকল প্রকার মনোরথ পূর্ণ করিয়াছ, প্রায় কিছুই মানসসিদ্ধির অবশেষ দেখিতে পাই না । এক্ষণে আমার একমাত্র মনোবাঞ্ছ মনোমধ্যে সমুদিত হইয়াছে, যদি আমার প্রতি অনুগ্রহপ্রবণ হও, তাহা হইলে, হে শিবে ! মদীয় মানসসিদ্ধবিষয়ে যত্নবর্তী হও । . . . শঙ্কুর অনুনয় বচনে শাস্তুৰী কহিতে লাগিলেন, হে শম্ভে প্রভো ! তোমার অভিপ্রায়ের মৰ্ম্ম কিছুই বুঝিতে পাfরতেছি না। যাহা হউক, স্বীকার করিতেছি, তোমার মনোভিলাষ পূর্ণকরণে আমি সবিশেষ যত্নবর্তী হইব । তদ্বাক্যে মহাদেব কহিতে লাগিলেন, হে প্রসন্নময়ি ! যদি আমার প্রতি প্রসন্ন হইয়া থাক, তাহ হইলে আমার অনুরোধে পুরুষদেহ ধারণ কর। আমি নারীদেহধারী হইয়া পৃথিবীতে যেসময়ে প্রাজুভুত হইব, তুমি সেময়ে আমার প্রাণবল্লভ হইবে ; এবং আমিও তোমার মনোহারিণী রমণী হইব আমার এইমাত্র অভিলাষ মনোমধ্যে আবিভূত হইয়াছে। হে ভক্তজনের অভীষ্টফলপ্রদাত্রি! আমার মানস পূর্ণ কর, এই আমার সবিশেষ অনুরোধ। মহাদেবের বচনানুসারে মহাদেবী কহিতে লাগিলেন আমার যে মুৰ্ত্তি নবীন র ন্যায় প্রভাশালিনী, সেই ভদ্রকালী মূৰ্ত্তি ৰূপান্তক্তি হইয়। আমি কৃষ্ণৰূপে সংসারে অবতীর্ণ হইব। তুমি স্বকীয় অংশপ্রভাবে স্ত্রীদেহধারণপূর্বক পৃথিবীতলে প্রাচুভূত হইবে। শিব কহিলেন, হে জগদ্ধাত্রি! তুমি মদীয় অভীষ্টসিদ্ধির জন্য কৃষ্ণৰূপে অবতীর্ণ হইলে,