পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্তমোধ্যায় । を3>\。 অঙ্কুর আনন্দমনে পদব্রজেই সেই ব্রজরাজ পথে গমন করিতে লাগিলেন, এবং গমনকালে এক একবার মনে করিতে লাগিলেন, আমি দুরায় কংসের দূত, পাপিষ্ঠের প্রেরিত ব্যক্তিকে বৃন্দাবন বিহারি হরি কি দর্শণ দিয়া কৃতাৰ্থ করিবেন । বোধ হয় করিবেন না ? অ বার ভাবিতে লাগিলেন, কেনই বা করিবেন না ? তিনি তো অন্তর্যামী সকল ব্যক্তিরই অন্তর্গত ভাব তাহার দৃষ্টিপথে দেদীপ্যমান রহিয়াছে,অতএব আমার মনোবৃত্তি কদাচই কৃষ্ণের অবিদিত নহে। এই সকল ভাবিতে ভাবিতে অত্রর গমন করিতে লাগিলেন। এদিকে ভক্ত বৎসল কৃষ্ণ, ভক্তের অভিলাষ পূর্ণ করিতে বলদেবকে বলিলেন, দাদা ! চল আমরা জননীর নিকট হইতে গোষ্ঠ বিহারের সজ্জা করিয়া আসি । এই বলিয়া উভয়েই সত্বর জননীর নিকটে উপস্থিত হইলেন। মৃদু মধুর হস্য করিতে করিতে কৃষ্ণ বলিলেন, জননি ! আমরা আজ গোচারণে গমন করিবনা, কিন্তু গৃহাঙ্গনেই সেই মত ক্রীড়া করিব। অ মাদিকে গোষ্ঠবিহারের সজ্জা করিয়া দাও । কৃষ্ণের সুমধুর বাক্যাবলি শ্রবণ করিয়া যশোদা ও রোহিণী উভয়ে সমধিক সন্তুষ্ট হইলেন ; অন্যান্ত দিবস যেৰূপ সজ্জিত করিতেন, সে দিবস আপনার দেখিতে পাইব, এই বিবচেনা করিয়া অধিকতর যত্ন সহকারে রামকৃষ্ণকে সমধিক সুসজ্জীভূত করিলেন। রামকৃষ্ণের ৰূপ সহজেই ত্রিলোক রঞ্জন, তদুপরি সুবার বিবিধ রত্নাভরণ অলকাবলীতে বিভূষিত বদনমণ্ডল, মস্তকে মণিরঞ্জিত বিচিত্রচুড়া, রামের নীল বসন ও কৃষ্ণের পীত বসন, কটিতটে