পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * মহাভাগবত । আমা হইতে সংঘটিত হইবেক । আর অধিক কি কহিব, আমি ব্যাকুলহৃদয় হইয়া আপনাদের অবশ্ব কৰ্ত্তব্য যে গোচরণ, তাহাতেও সকল দিবস উহাদিগকে পাঠাইতে সম্মত হইতে পারি না। আর ইহাও জানিবেন, যে আমার প্রণাধিক রাম কৃষ্ণ, শ্ৰীদামাদি রাখাল-শিশুগণেরও প্রিয়তম সখা ; সুতরাং গোচরণার্থে গোষ্ঠে গমনকালে তাহারা যখন আমার নিকটে আসিয়া কহে, হে মাতঃ যশোমতি ! তোমাদের রাম কৃষ্ণকে আমাদের সহিত গোচারণে প্রেরণ কর, আমরা আজ দূর বনে গমন না করিয়া পুরীর সন্নিকটস্থ কামনপ্রদেশে ক্রীড়া ও গোচরণ করিব । তথন আমি তাঁহাদের বাক্যামুসারে এক এক দিন উহাদিগকে প্রেরণ করিয়া থাকি, কিন্তু তাহাদের প্রত্যাগমনকাল পর্য্যন্ত মনঃসংযত করত পাগলিনীর ন্যায় পথ নিরীক্ষণ করিয়া থাকি । অতএব যখন এত সন্নিহিত প্রদেশে প্রেরণ করিয়াও সুস্থ এবং স্থির থাকিতে পারি নাই, তখন আপনি কি ৰূপে তাহ। দিগকে বহু যোজনবিস্তৃত পথ সেই মধুপুরী লইয়া যাইবেন। এই ৰূপ বলিতে বলিতেই রাণীর নয়নযুগল অশ্রুজলে পরিপ্লুত হইয়া উঠিল, এবং তিনি কৃষ্ণকে নন্দগোপ হইতে গ্রহণ করিবার অভিলাষে হস্ত প্রসারিত করিয়া রহিলেন, তখন গোপেশ্বর অাস্তে ব্যস্তে নিজস্ক হইতে নন্দনকে যশোদার হস্তে সমর্পণ করিলে, তিনি তাহাকে বক্ষে ধারণ করিলেন । কিয়ৎপরিমাণে যশোমতীর সুস্থভাব অবলোকন