পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্তমোধ্যায়। ৪২৩ সম্বোধন করিব না, এবং আপনার প্রদত্ত ক্ষীর সর ও নবনীতাদি কিছুই গ্রহণ করিব না, এই বলিয়া বালসুলভ (বালোচিত) চপল কোপ প্রকাশ করত যশোদার ক্রোড়দেশ হইতে বেগে ভূমাবলুষ্ঠিত ভূপতিত হইয়। রোদন ও র্ত হার অঞ্চলদেশ ধারণ পূর্বক নানা প্রকার বাল্যচপলত প্রদর্শন করিতে লাগিলেন । তখন ননদরাণী, কৃষ্ণের রোরুদ্যমান ও বিষন্নবদন নিরীক্ষণ করিয়া দশ দিক্‌ শুন্য বোধ করিলেন, এবং উহাকে পুনৰ্বর সান্ত না করিবার জন্য অঙ্কে ধারণ কবিয়া তাহার মস্তক অস্ত্রণ ও পুনঃ পুনঃ মুখ চুম্বন করত নানা প্রকার প্রবোধ বাক্যে গমনে নিবৃত্তমনন করিতে সচেষ্ট হইলেন। পরন্তু কৃষ্ণ যেন অবাধ্য শিশুর ন্যায় কিছুতেই সে কথা শুনিলেন না । বরং জননীর অঙ্কে থাকিয় স্মিতবদনে কহিলেন, মাতঃ ! তুমি যেমন আমাকে মধুপুরী যাইতে অনুমতি দিলে না, তেমনি আমি অণর তোমার স্তনপান করিব না, এই বলিয়া নয়নজলে র্তাহার বক্ষঃস্থল আদ্র করিতে লাগিলেন। তখন স্নেহপ্রবণ যশোদা, কুমারের ঐকান্তিক বাসন দর্শনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অগত্য। তাহাতে সম্মতি প্রদান -করিলেন। আকুলহৃদয় যশোদার এতাদৃশ অপত্যস্নেহ সন্দর্শনে অন্তরীক্ষস্থ দেবতারা সকলে চমৎকৃত হইয়া ঈষদ্ধ স্য সহকারে কহিতে লাগিলেন, আহে ! এই অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড র্যাহার মায়াতে বিমোহিত হইয়া আছে, তিনি যে এই সামান্য গোপরমণী যশোদাকে মুগ্ধ ৰরিবেন ইহাতে আর আশ্চর্য্য কি ?