পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্তমোধ্যায়। 33。 পড়িলে, সকলেই রামকৃষ্ণকে চক্রাকারে পরিবেষ্টন করিয়া তথায় উপবেশন করিল । অনস্তর কৃষ্ণ কহিলেন, হে সহচরবৃন্দ ! অদ্য রজনী প্রভাতী হইলে আমরা ভ্রাতৃদ্বয়ে মধুপুরী প্রস্থান করিব ; পিতা নন্দ ও পিতৃব্য উপনন্দ প্রভৃতি অনেকেই আমাদের সমভিব্যাহারে গমন করিবেন। অতএব হে সখাগণ ! তোমাদের মধ্যে যদি কেহ আমাদিগের সঙ্গে তথায় গমন করিতে সমুৎসুক হইয়া থাক, তবে রাত্রিশেষে ব্রজরাজপ্রাসাদে সমাগত হইয়া তথায় উপস্থিত থাকিবে । রাখাল বালকেরা কৃষ্ণের ঐ কথা শ্রবণ করিয়া প্রায় সকলেই তাহণদের সহিত তথায় যাইবার বাসন প্রকাশ করিল ; তৎশ্রবণে অপর কতকগুলিন নিতান্ত শিশু তাহারাও পরমাঙ্কাদ সহকারে ঐ ৰূপ মত প্রকাশ করত কৃষ্ণের আজ্ঞাপেক্ষী হইয়া তথায় দণ্ডায়মান রহিল । অনস্তর কৃষ্ণ তাহাদিগকে প্রেমভরে আলিঙ্গন করিয়া সহস্যবদনে ও সুমধুর সম্বোধনে কহিতে লাগিলেন, হে রাখালশিশুগণ ! তোমরা নিতান্ত শিশু ও দুগ্ধপোষ্য, জননীর স্তনপান ব্যতিরেকে বোধ হয় তোমাদের ক্লেশ হওয়া সম্ভব, অতএব তোমরা এখন তথায় গমনে নিবৃত্তমনা হওঁ ; এই বলিয়া নিরস্ত হইলেন । অতঃপর শিশুগণ র্তাহার বাক্যানুসারে নিবৃত্ত হইল বটে, কিন্তু কৃষ্ণের আদর্শনে তাহারা কিৰূপে ব্ৰজপুরে বিচূরণ করিৰে এই চিন্তায় তাহীদের অন্তর্দাহ হইতে লাগিল। অস্তুর্যামী কৃষ্ণ তাহদের মনোগত অভিপ্রায় অবগত হইয়া,