পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপঞ্চাশত্তমৈাধ্যায়। *8SS হইবে, তাহ অনির্বচনীয়। অামি জগৎকে মোহিত করি বলিয়া লোকে আমাকেই জগন্মোহন কহিয়া থাকে, কিন্তু তিনি আবার অামারই মনোমোহিনী ; অতএব মদ্বিরহব্যাকুলা সেই বৃকভানু-রাজ দুহিতাকে যে আশ্বাসিত করি, এখন আমার আর এতাদৃশ কোন বাক্যই নাই ; সুতরাং এই অত্যপকালমাত্র দর্শন দিয়া সেই বিয়োগভীতা শ্ৰীমতীর ভাবি .ধিয়হানলকে প্রজ্বলিত করত সদ্যই কেন তাহার সুস্থির ও প্রেমময় চিত্তকে দগ্ধ করিব ? অতএব তাহাকে উদ্দেশেই আলিঙ্গন ও তাহার সহবাসমুখ অনুভব করি, যেহেতু তদ্ব্যতীত এখন আর আমার জীবন ধারণের উপায়ান্তর নাই । কৃষ্ণ, বিরসবদনে এইৰূপ চিন্তা করিতে করিতে দিবাপ্রজ্বলিত দীপশিখার স্তায় নিম্প ভ হইয়া পড়িলেন ; তাহার উজ্জল নীলকান্তি যেন জ্যোতি বিহীন-মলিনপ্রায় হইয়া গেল । অনন্তর গৃহে প্রবেশ করত ক্ষণপ্রভার স্যায় একবার মাত্র জননীকে দর্শন দিয়াই অমনি বিশ্রাম ভবনে গমন করিলেন। তদ্‌ষ্টে যশোদ মনে মনে চিন্তা করিলেন, বুঝি গোপাল আজ ক্রীড়াক্লান্ত হইয়া থাকিবে, এই ভাবিয়া তিনিও আর অধিক কিছুই জিজ্ঞাসা করিলেন না। অতঃপর কৃষ্ণ, শ্ৰীমতীর বিরহ চিন্তায় একান্ত আকুল হইয় পড়িলেন। তিনি যদিও কষ্টক্রমে য়েই গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া ছিলেন, তথাপি শয্যা পর্য্যন্ত গমন করিতে অসমর্থ হইয়া অথর্বের স্থায় ভূমি শষ্যতেই শয়ন করি