পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$or মহাভাগবত | কিয়ৎপরিমাণে কোলাহলশ্বন্ত इईज्ञां निखक इशेशों আসিতে লাগিল, নিশাচরগণের অনন্দের ক্রম উদ্রেক হইতে লাগিল, এই সময় হৃদয়প্রফুল্লকর চন্দ্ৰম অম্বরপ্রদেশে উদিত হইয় প্রকৃতিকে যেন অপুৰ্ব্ব এক সুন্দর বসনে সুসজ্জীভূত করিলেন যে, ক্রমে তমো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহার অধিকতর শোভা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। কুলায়স্থ কোকিলাদি বিহঙ্গগণ মধ্যে মধ্যে কুজনধনি সহকারে বনভূমিকে যেন অমৃতরসে অভিষিক্ত করিয়া তুলিল। নিশাগমন জানিয়া মধুপানোন্মত্ত অলিদল ঝঙ্কার করত যে যাহার স্থানে প্রস্থান করিল। নাথসমাগমে প্রফুল্লমন। কুমুদিনী মন্দ মন্দ বায়ুভরে দোতুল্যমান হওত সরোবর সনে বসিয়া চঞ্চলহাস্যে হাসিতে লাগিলেন যে, তদ্‌ষ্টে গৌরবণী কমলিনী অমনি ঈৰ্ষাপরতন্ত্র হইয়। বিষ্ণবদনে চক্ষু মুদ্রিত করিলেন। রাধিক কুঞ্জকানন হইতে প্রকৃতির এইৰূপ সৌন্দর্য্যাতিশয় সন্দর্শন করত মনে মনে কহিতে লাগিলেন, আহে। অধুনা আমার কি মুখসচ্ছন্দতাতে দিনযাপন হইতেছে, কান্তসহবাসে আলিবার জন্য আর আমার লোকলাঞ্ছনা ও গুরুগঞ্জনার কোনই আশঙ্কা নাই—এখন অকুতোভয়ে স্বেচ্ছামুখে তাহর চরণারবিন্দ দর্শন করিতে পারি। যাহা হউক, সেই চিরসখাকে দর্শন করিলে, কলঙ্ক বা লোকলাঞ্ছনার আর কিছুই ভয় থাকে না। অহে ! সেই কৃষ্ণপ্রেমসুধা ষে ব্যক্তি একবার পান করে, সে কি বিমলানন্দই না অনুভব করে, জগৎসংসার তাহার অতি সামান্য বলিয়া জ্ঞান