পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্তমোধ্যায় । 855 হয় ; সুতরাং এবপ্রকার সুহৃতের সহবাসে আর কুলভয়ের সম্ভাবনা কি ? এই ৰূপে রাজবল শ্রীরাধিক একমনে নানা প্রকার চিন্তা করিয়তছেন, এমন সময়ে ললিতা ও চম্পকলতা তথায় উপস্থিত হইলে দেবী তাহাদিগকে সেই কুঞ্জকুটির যথামত সুসজ্জীভূত হইয়াছে কি না, এই কথা জিজ্ঞাসা করিলেন ; তাহাতে তাহারা কহিল, দেবি ! অদ্য যেৰূপ কুঞ্জকুটার সুসজ্জীভূত ও পুষ্পশয্যা পরিপাটা হইয়াছে, ইতিপূর্বে অর কখনই সেন্ধপ চমৎকার ও মনোহারি হয় নাই। তখন কিশোরী, স্বগ্রথিত মালা প্রদর্শন করিয়া পুনৰ্ব্বার কহিলেন, সখি ! দেখ দেখি এই বনমালা অতিসুন্দর হইয়াছে কিনা ? তাহাতে তাহার। সেই সুচিক্কণ গ্রন্থি দর্শনে পরিতুষ্ট হইয়া মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিল, আহ ! সহজেই যে ভূবনমোহনকে দর্শন করিলে, অনঙ্গবাণে শরীর মন অবশ হইয়া থাকে, তঁহার অঙ্গে গ্রীরাধাগ্রথিত এই বনমালা দোতুল্যমান দেখিলে, কোন রমণী ঈদৃশ কন্দপবিনিন্দিত মুরসিক নায়কের প্রেমাভিলাষিণী হওত কুল, মান, শীলে জলাঞ্জলি দিয়া তাহারই উপাসনায় কালক্ষেপ করিতে বাসনা না করে ? এই ৰূপ চিন্তা করত তাহার শ্ৰীমতীকে কহিলেন, দেবি ! এ মালা অত্যুৎকৃষ্ট হইয়াছে। ইহা সেই কমললোচন কৃষ্ণের সম্পূর্ণ ৰূপে উপযুক্ত বলিয়। আমাদের স্থির নিশ্চয় হইতেছে। অতঃপর চল, এখন । একবার কুঞ্জকুটারের শোভা সন্দর্শন করিবে। আর এদিকে বনমালীও আগন্তপ্রায়, তিনি প্রথমে তখনয় উপ