পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশজুমোধ্যায়। 8२* করিয়া উপযুক্ত অবসর বিবেচনায় গোপপতি নন্দ পুনবর্বর তঁহাকে কহিতে লাগিলেন, যশোদে ! গোপাল যে তোমার প্রাণ পুত্তলিক, নয়নের মণি, কণ্ঠের ভূষণ ও অঞ্চলের নিধি, তাহ! আমি বিলক্ষণ অবগত তাছি। তবে যেকারণে আমি ঐৰূপ কথা কহিলাম, তাহর আমূলক বৃত্তান্ত শ্রবণ কর। মহাত্মা অক্রুর এখানে উপস্থিত হইয়। প্রথমে আমার রাম কৃষ্ণের সহিত যে কি ৰূপ কথোপকথন করিয়াছিল, তাহ আমি অন্যকার্য্যে ব্যাপৃত থাকিয়া অনন্যমন হওয়াতে কিছুই প্রবণ করি নাই। পরন্থ কিয়ৎকাল পরে প্রাণাধিক রাম কৃষ্ণ আমার নিকট ত্রস্তভাবে উপস্থিত হইয় গদগদ স্বরে ও বিনীতভাবে কহিল, হে পিতঃ ! মধুপুরী হইতে মহাত্মা অকুর, মহারাজ কংসের তাদেশক্রমে আমাদিগকে লইয়া যাইবার নিমিত্ত রথ ও নিমন্ত্রণ পত্র লইয়া এখানে আগমন করিয়াছেন, আমরা তথাকার সেই রাজগৃহে আহুত হইয়ছি। অতএব আপনি শীঘ্র স্বজনগণে পরিবৃত হওত রাজসম্মান প্রদান৷র্থ দধি দুগ্ধাদি সংগ্রহ পূর্বক অামাদিগকে সমভিব্যাহরে লইয়া কল্য প্রভাতেই সেই অস্থিত স্থানের উদ্দেশে গমনোদ্যোগ করুন। হে যশোদে ! কুমারের আহ্বাদসহকারে এই কথা বলিলে, আমি স্নেহবশে তাহতে সম্মত হইয়াছিলাম ; বিশেষতঃ আমিও সংহতি গমন করিব বলিয়া উহাদের আদর্শনজনিত দুঃখের ভাবই আমার মনোমধ্যে উদয় হয় নাই । অপিচ, কুমারের রাজসভায় পরিচিত ও সন্মানিত