পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। ৩৭ দেখিতে এক এক বার দূরবিলোকন করিতে লাগিলাম । তখন সেই ব্ৰহ্মৰূপিণী আমার কস্ত কহিলেন, জননি । তোমার কি দেবদর্শনের অভিলাষ হইয়াছে ? এই কথা শ্রবণমাত্রে আমি চন্দ্র নন চুম্বন করিয়া বলিলাম, তুমি কি সকলই জান মা ? তা ন হইলেই বা কেন মহাতেজস্বী দেব সকল তোমার পদানত হইবেন ? এইকথা বলিতে বলিতে আমার নয়নযুগল অশ্রুজলেপরিপূর্ণ হইলে পর, সেই কস্তাটি আমার নয়নজল নিজ হস্ত দ্বার। মুছাইয়া কহিলেন, জননি! এইবার চতুর্দিকে একবার দুরবিলোকন কর দেখি। তখন আমি দেখিলাম, চতুর্দিকেই কোটি কোটি জ্যোতিৰ্ম্ময় মূৰ্ত্তি ; সকলের উত্ত মাংশে রত্নময় মুকুট ; বিবিধ বর্ণের পট্ট-বাস পরিহিত ; নিজ নিজ উত্তরায় বসন গললন্বিত করিয়া করপুটে আমার ঐ কন্যাভিমুখে দণ্ডায়মান আছেন । দেখিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, হৰ্ণ গো মা ! ইহার কেন তোমার নিকট আগমন করেন নাই ? তিনি কহিলেন, জননি ! ইহণদের তত্বজ্ঞান নাই ; অতএব আমার যথার্থৰূপ দর্শনের অধিকার জন্মায় নাই। তবে আমার তত্বজিজ্ঞাস্থ, এবং ভক্তিযুক্ত বলিয়। কখন কখন আমার আলোক মাত্র দর্শন করেন। ঐ দেখ, জননি! উহার কৃতকাৰ্য্য হইয়া আনন্দিত বদনে স্বীয় স্বীয় ভরনাভিমুখে গমন করিতেছেন । জননি! আমিই ত্রিলোকজননী ; সুরাসুর, নর, কিন্নর প্রভৃতি ”মাবদীয় জীবমাক্রেই আমার সমভাবে সন্তানস্নেহ জাগরুব রহিয়াছে। এই নিমিত্ত সকলের নিস্তার কারণ