পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপঞ্চাশত্বমোধ্যায়। ՅՀ ծ পড়িলে, সকলেই রামকৃষ্ণকে চক্র করে পরিবেষ্টন করিয়া তথায় উপবেশন করিল। অনন্তর কৃষ্ণ কহিলেন, হে সহচরবৃন্দ ! অদ্য রজনী প্রভাতা হইলে আমরা ভ্রাতৃদ্বয়ে মধুপুরী প্রস্থান করিব ; পিতানন্দ ও পিতৃব্য উপনন্দ প্রভৃতি অনেকেই আমাদের সমভিব্যাহারে গমন করিবেন । অতএব হে সখীগণ ! তোমাদের মধ্যে যদি কেহ আমাদিগের সঙ্গে তথায় গমন করিতে সমুৎসুক হইয়া থাক, তবে রাত্রিশেষে ব্রজরাজপ্রাসাদে সমাগত হইয়া তথায় উপস্থিত থাকিবে । রাখল বালকেরা কৃষ্ণের ঐ কথা শ্রবণ করিয়া প্রায় সকলেই তঁহাদের সহিত তথায় যাইবার বাসন প্রকাশ করিল ; তৎশ্রবণে অপর কতকগুলিন নিতান্ত শিশু তাহারাও পরমহল্লাদ সহকারে ঐ ৰূপ মত প্রকাশ করত কৃষ্ণের অজ্ঞাপেক্ষী হইয়া তথায় দণ্ডায়মান রহিল। অনন্তর কৃষ্ণ তাহাদিগকে প্রেমভরে আলিঙ্গন করিয়া সহস্যৰদনে ও সুমধুর লম্বোধনে কহিতে লাগিলেন, হে রাখালশিশুগণ! তোমরা নিতান্ত শিশু ও দুগ্ধপোষ্য, জননীর স্তনপান ব্যতিরেকে বোধ হয় তোমাদের ক্লেশ হওয়া সম্ভব, অতএব তোমরা এখন তথায় গমনে নিবৃত্তমনা হওঁ ; এই বলিয়া নিরস্ত হইলেন। অতঃপর শিশুগণ তাহার বাক্যানুসারে নিবৃত্ত হইল বটে, কিন্তু কৃষ্ণের অদর্শনে তাহারা কিৰূপে ব্ৰজপুরে বিচরণ করবে। এই চিন্তায় তাহদের অন্তর্দাহ হইতে লাগিল। অন্তর্যামী-কৃষ্ণ তাহদের মনোগত অভিপ্রায় অবগ* হইয়া,