পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰিপঞ্চাশত্ত্বমোধ্যায়। በፀመ বার মানসে স্বয়ং মালা গণথিয়াছেন। অতএব তাহা যদি দেখিবার বাসনা থাকে তবে, শীঘ্ৰ তথায় গমন কর। এই কথা শ্রবণ করিয়া বৃন্দার নয়নযুগল অধিকতর ছল ছল করিয়া উঠিল, এবং সে স্বকীয় অঞ্চলৰসনে সেই নয়নজল মার্জনা করিয়া দীঘনিঃশ্বাস সহকারে কহিতে লাগিল, আহে। সখি ! তোমাদের বাক্য শ্রবণ করিয়া আমার এইৰূপ অমুমন হইতেছে যেন, সেই হারই আজ আমাদের প্রাণ সংহারক হইবে । হায় ! হত বিধে ! তোমার মনে কি এই ছিল ? অামাদিগকে একবার এমন অমূল্য ধনের অধিকারী করিয়া পরিপূর্ণ সম্ভোগ হইতে না হইতেই আবার তাহাই অপহরণ করিতে উদ্যত হইলে ? এই বলিয়া সকলেই অপে অপে তথা হইতে তমালকুঞ্জে গমন করিতে লাগিল । এদিকে বিসখী, কৃষ্ণগমন বৃত্তান্ত যথার্থই অবগত হওত, বিচ্ছেদবাণে নিতান্ত অধৈর্য্য হইয়া পড়িল, এবং বাণবিদ্ধ হরিণীর ন্যায় যেন দিগ্বিদিক বোধ শুষ্ঠা হইল। অনন্তর উৰ্দ্ধশ্বাসে সেই কুঞ্জবনে প্রবেশ করিয়া দূর হইতে ঐরাধিকাকে দেখিতে পাইল ; এবং ধীরে ধীরে তঁহার নিকটে অrলিয়। দেখিল যে, তিনি একমনে সহাস্যবদনে কৃষ্ণগুণ গান করিতে করিতে কুমুম হার গ্রন্থন করিতেছেন। এই সময়ে সে মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিল, অহো ! দেখিতেছি ইনি আপন মনেই বসিয়া পরম মুখে সময়াতিপাত কুরিতেছেন। সম্মুখে যে কি কালস্বৰূপ বিচ্ছেদবাণ আদিতেছে তাহার কিছুই অবগত নহেন। অতএব আমি এমন সময়ে কেমন :