পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভাগবত । করিয়াই বা সে নিদারুণ সংবাদ প্রদান করিব ? পরক্ষণে আবার অমনি চিন্তা করিল যে, সে কথা ইহার নিকট অবশ্য শীঘ্রই প্রকাশ করা কৰ্ত্তব্য। কারণ, ইনি আমাদের সকলের মুখ্য, সৰ্ব্বাপেক্ষী বুদ্ধিমতী ও কৃষ্ণের মনমোহিনী। অনুমান হয় যে, শ্রবণমাত্রেই ইনি কোন কৌশল উদ্ভাবনা দ্বারা সেই ব্ৰজনাথের মথুরাগমনে ব্যাঘাত জন্মাইয়া দিতে পারেন । যাহা হউক, সম্প্রতি এ শেলসম কঠিন বাক্য কিৰূপেই বা তঁহার গোচর করিব ? হা বিধাতঃ ! এইজন্যই কি আমার বিষখা নাম হইয়াছিল ? মোর এতদিনে বুঝি বা তাহা সার্থকও হয় । এইৰূপ চিন্তা করিতে করিতে র্তাহার সম্মুখাগ্ৰবৰ্ত্ত হইয় তাহাকে প্রণাম করল। রাধিক তখন তাহাকে সম্মুখে আগত। দেখিয়া সহস্তবদনে জিজ্ঞাসা করিলেন, সখি! তুমি বুঝি এইমাত্র এখানে আসিতেছ? তবে বল দেখি আমার প্রাণবল্লভ কৃষ্ণ কোথায় ? তিনি কি এই কুঞ্জে আসিয়ছেন ? অথবা তাহার আসিবার তার বিলম্ব কি ? এৰূপ জিজ্ঞাসা করিলে, বিসখী বিষন্ন বদনে মৌনভাৰে থাকিয় কিছুই উত্তর প্রদান করিল না । তাহার অস্বীভাবিক ভাব দর্শনে রাধিক। চঞ্চল ও চমকিত চিত্ত হইয়া কহিলেন, বিসখে! তুমি কি আমাকে পরিহাস করিতেছ ? এই কি তোমার পরিহার্সের প্রকৃত সময় ? স্ত্রীরাধিক এইৰূপ বলিতেছেন, এমন সময়ে সখীগণপরিবেষ্টিত প্রধান বৃন্দ, মানবদনে তথায় প্রবেশ করিল। রাধিকা, সকলের বিষঃভাব দর্শন করিয়া তার