পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিপঞ্চাশগুমোধ্যায় 总登堡 তোমরাত সে দিবসের সেই রাধাকুণ্ডের কাগু সকলেই অবগত আছ ? সে দিবস যখন কিশোরী মানভরে অবগুণ্ঠনাবতী থাকিয় কোনমতেই সেই গোপীবল্লডের সহিত প্রণয়ালাপ করিলেন না, তখন তিনি বহুতর আয়াসে তাহার মান ভঞ্জন করিতে প্রয়াস পাইয়া অকৃতকাৰ্য্য হওত রোদন করিতে করিতে বৃন্দাবন ( নামক বন ) হইতে বহির্গত হইয়া যান। সেই সময়ে আমরা, শ্ৰীমতীকে বিনয় পূৰ্ব্বক অনেক মিষ্ট বাক্যে সেই মান পরিত্যাগ করিতে অনুরোধ করিলেও তিনি একান্তই তাহাত কর্ণপাতও করিলেন না। পরে শ্ৰীমতী স্বয়ং উহার বিচ্ছেদে আকুলা হইয়াছিলেন ; এবং তখন নিজক্লেশ নিবারণ করিবার নিমিত্ত হা কৃষ্ণ ! হা কৃষ্ণ ! করিয়া উহার অস্বেষণ ও তদ্বিরহে অসহ্য হইয়া রোদন করত আমাকে কৃষ্ণন্বেষনে নিযুক্ত করেন। পরিশেষে আমি উহাকে ও তোমাদিগকে তদ্বিরহে কাতরভাবাপন্ন দেখিয়া সেই বিরহাতুর নটবর শ্বামের উদ্দেশে গমন করিলাম। অনন্তর কুঞ্জ উপকুঞ্জ প্রভূক্ত নানা স্থানে ভ্রমন করিয়া কোথাও উহার দর্শন পাইলাম না। পরিশেষে রাধাকুণ্ডের অদূরে থাকিয়া, “ হারাধে ! আমার পরিত্যাগ করিলে— আমার সহিত বাক্যালাপ করিলে না, আমাকে বৃন্দাবন হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিলে - প্রভক্তি বাক্যে হা হতোন্ধি করিয়া কে যেন বিলাপ করিতেছে শুনিতে, পাইলাম । আমি সেই স্বর শ্রবণে ইতস্ততঃ দৃষ্টি সঞ্চালন করিস্থ কাছাকেও দেখিতে পাইলাম না। অতঃপর দেখিলাধকুণ্ডের সমী