পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৮৮

ত্ৰিপঞ্চাশত্ত্বমোধ্যার s९१ এই সরিং হইতে একটা কমলিনী প্রদান কর। অনন্তর তাহার। সেইৰূপ করিলে, কৃষ্ণ একটী কমল ত হাদিগের হস্ত হইতে গ্রহণ করত স্বকীয় বক্ষঃস্থলে স্থাপন করিলেন, এবং কহিতে লাগিলেন, হে কমলিনি । তুমি আমার সেই হৃদৃবিলাসী কমলিনীর নাম ধারণ করিয়াছ, এই হেতু তোমা হইতে উপস্থিত বিকারে শান্তি লাভ করিব বলিয়৷ তোমাকে নিজ বক্ষে ধারণ করিলাম। কিন্তু তো হইতে সেই পীড়ার কিছুমাত্র উপসম হইল না। আমার সেই কমলিনীর বিরহ-তাপ হইতে তুমি আমাকে রক্ষা করিতে পারিলে না। এই বলিয়৷ বহুতর বিলাপ করত পুনর্বার মোহ প্রাপ্ত হইলেন । হে ব্রজসুন্দরীগণ ! আমি তৎকালে এই সকল ব্যাপার অবলোকন পূর্বক বিচ্ছেদ বিকার যে কি দারুণ ও ভয়ঙ্কর, তাহ বুঝিতে পারিলাম। হে গোপীনিগণ ! তৎকালে সেই শ্যামসুন্দরের যেৰূপ ভাব ও দশ। হইয়াছিল, আহ ! তাহার আর কি কহিব ? যদি শ্যামের নয়নকমল স্বভাবতই বক্ৰ ন হইত, তাহা হইলে তাহার সেই ভাবান্তর কালে আমি তাহাকে কদাচই চিনিতে পারিতাম না। ক্ষুধিত ব্যক্তির অন্ন যেৰূপ উপকারী, তুষ্ণাতুরের, পানীয় শীতল জল যেৰূপ উপসমক, বিরহ-দগ্ধ সুরসিক নাগরের, রমণীই সেইৰূপ অব্যর্থ মহৌষধি। মনে মনে ঐৰূপ চিন্তা করিয়া, আমি উtহার ওষধি স্বৰূপ তথায় প্রকাশিত হইলাম। যাহা হউক, হে কমলিনি শ্রীরাধিক । কফ যে তোমার বিরহযন্ত্রণ। অনুভব করিৰেন ৰা, ইহা কোনমতেই ক্ষমার প্রত্যয় হয় না । t:bր