পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

형<) মহাভাগবত । হইয়া লম্ফোল্লম্ফন করত দ্রুতবেগে চতুর্দিক বেষ্টন করিতেছে। তাহদের ঘনবেষ্টনে মধ্যস্থল অলক্ষিত হইয়। আমার নৃত্যময়ী কহুল এবং পঞ্চবদন দেব উভয়েই আমার নয়নপথ অতিক্রম করিলেন । তখন আমি সেই প্রাণাধিক কন্যারত্ন আদর্শনে অধিকতর ব্যগ্রচেতা হইয়া সদ্যঃপ্রস্তুত। গাভীর স্যায় আৰ্ত্তনাদ করিতে করিতে সেই বেষ্টন ভিমুখে ধাবমান হইলাম ; যত নিকট হই, ততই সেই করালবদনাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখিয়া আমার কণ্ঠশোষ, গত্রিকম্প, চরণস্থলন হইতে থাকিল ; তথাপি নিবৃত্ত না হইয় প্রাণপণেও বেষ্টনপাশে, উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, যে তাহর মধ্যে প্রবেশ হইবার কোন প্রকারে উপায় নাই। তখন কহু ধন অপ্রাপ্ত হইয়া নিতান্ত শোককুলা, আর, সেই ভয়ঙ্করী কিঙ্কবীদের ব্যাপার সমস্ত দৃষ্টি করিয়া ভয়ে অধরা, হইয়া চীৎকার করিতে থাকিলাম ; তার পর কোন সময়ে আপনি গাঢ় আলিঙ্গন করিয়াছেন, কিছুই জ্ঞাত নই ; কেবল আপনার ভয়ভঞ্জক বাক্য ব্রারংবার শ্রবণবিবরে প্রবিষ্ট হইয়া চৈতন্তের উদয় এবং ভয়েরও দূরীকরণ হইল । রাজা তখন প্রেয়ীভাষিত আদ্যোপান্ত স্বপ্নবৃত্তান্ত শুনিয়া পুলকে পরিপূর্ণ ও রোমাঞ্চিতগাত্র হইয়া কহিলেন, পতিব্ৰতে ! তুমি ধষ্ঠা; তুমি ধন্য ; যে স্বপ্ন দর্শন করিয়াছ, এ কেবল স্বপ্ন নয়, ইহার সকলই সত্য , একথা সাবধানে গোপন করিবে । * এই প্রকার কথোপকথনে যামিনীর অবদান হইলে অরু