পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVo মহাভাগবত্ত । এখন বিবেচনা হয় যে, সেন্ধপ না করিলে ৰঙুই মঙ্গল হইত। কারণ সেই স্থচক্ৰী কৃষ্ণ, কলঙ্ক মোচনের ছলে আমাদিগকে কুল শীলে পুনরাবদ্ধ করিয়া চলিয়। যাইবেন। কলতঃ একমাত্র প্রবোধ, যদিও অামাদের আবদ্ধ রখিবার জষ্ঠ বৰ্ত্তমান উপায় বটে, কিন্ত কৃষ্ট-বিচ্ছেদ কালে অমাদের সে প্রবোধ, সে জ্ঞান, কিছুই থাকিবে না। আর ইহাও আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে যে, কৃষ্ণ এক বার মথুরায় গমন করিলে আর কদাচ এস্থানে প্রত্যাগমন করিবেন না । সুতরাং আমরা তঁহার চিরবিরহে জীবিত থাকিলেও অনাথিনী হইয়া,—পাগলিনী হইয়া বিচরণ করিব। এই বলিয়া ঐরাধিক তৎক্ষণাৎ ভূপতিত ও মুচ্ছিত হইলেন। সেই সময়ে সখীরাও রোদন করত উiহার যথামত সুশ্রুষা করিতে লাগিল । ঃপর বৃন্দা সকলকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, সখিগণ! পূর্বে আমি কৃষ্ণ বিয়োগের কথা তোমাদের নিকট প্রকাশ করাতে তোমরা তখন অনেকেই তাহাতে উপহাস করিয়াছিলে, কিন্তু এইক্ষণে স্বয়ং লক্ষী স্ত্রীরাধিক যাহা কহিতেছেন তাহার অন্যথা কদাপি হইবার নহে। তখন সখীরা সকলেই বিষগ্ন বদনে রোদন করিতে লাগিলে বৃন্দা, কিয়ৎ পরিমানে ধৈর্য্য ধারণ পূৰ্ব্বক সকলকেই শাস্তুনা প্রদান করিতে লাগিল। এই সময়ে নিশাও প্রায় শেষ ইয়া আসিল। কমলিনী চৈতন্য প্রাপ্ত হইয়। কহিতে লাগিলেন, বৃন্দে ! নিশা প্রায় অবসান হইয়া আসিল। আর এখানে বসিয়া বৃথা রোদন করিবার কি