পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१२ মহাভাগবত । ফুরিতে হইবে ; তাহাতে গুরুগণ অামাদিগকে তিরস্কার ও লাঞ্ছনা প্রদান করিলেও কদাচ মননে ক্ষান্ত হইব না। সকল গঞ্জনা সহ করিয়াও নিশ্চয়ই র্ত হাদিগকে দর্শন করিব। ( এইরূপ কথা হইতেছে) ইত্যবকাশে যাহার রামকৃষ্ণকে দর্শন করিয়া আসিয়াছে, তাহারাও তাহদের সৌন্দর্য্যাতিশয় বর্ণনা করিতে করিতে এমনি বিমোহিত ও অধীর হইয়া উঠিল যে, আর তাহার সে কথা স্পষ্ট করিয়া ব্যক্ত করিতে নিতান্ত আসক্য হইল। এইৰূপে নানা কথাক্রমে সময়াতিপাত করিয়া সকলে রাম কৃষ্ণকে দর্শন করিবার নিমিত্ত প্রতীক্ষা করিতেছে, এমন সময়ে তাহীদের মৃতুগামী রথ উহাদের সকলেরই দৃষ্টিপথে নিপতিত হইল, এবং ক্রমে অধিকতর নিকটবৰ্ত্তী হইলে, কেহ কেহ কহিতে লাগিল, সখি! কিছুকাল পূৰ্ব্বে আমরা শ্রাতৃ হইয়াছিলাম যে, কৃষ্ণনামে ব্ৰজপুরে এক বালক আছে, ব্রজাঙ্গণীগণ র্তাহার বংশীস্বরে বিমোহিত হওত কুল, মন, শীল ও লোকলাঞ্ছন এবং গুরুগঞ্জনাদিতে ক্ৰক্ষেপ না করিয়া ঐ শব্দেরই অনুগামিনী হইত ; এবং আমরা যে সময়ে গৃহঙ্গণ হইতে বহির্গত হইতে ভীত ও সঙ্কচিত হই, তাহার সেই ভীষণ তামসী রজনীতে সকল প্রকার বিভীষিক অতিক্রম করত অবলীলাক্রমে নিবীড় ও নির্জন কানন প্রদেশে গমন ও বিহার করিত—কণ্টক, কীলকাদি কিছুই মানিত না । হে লহচfরগণ ! তৎকালে ব্রজসুন্দরীগণের এইৰূপ লোকধর্মবিগস্থিত কদৰ্য্য কাৰ্য্য শ্রবণে মনে মনে তাহাদিগকে কতই ধিক্কার প্রদান ক্ষরিতাম, কিন্তু এখন বিবেচন।