পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চঞ্চাশত্তমোধ্যায় । 8,Գ দিবস পরে বিদর্ভনগরে বিদর্ভরাজকন্তু রুক্মিনীর স্বয়ম্বর সভার উদ্যোগ হইল। বিদর্ভাধিপতি মহারাজ ভীষ্মক, দিগদিগন্তরস্থ রাজগণকে নিমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ করিতে লাগিলেন ; ভীষ্মক মহীপতির এক পুত্র রুক্মীনামে বিখ্যাত। সে অতিশয় কুরমতি ও মহাবলবান। তাহার অভিপ্রায় যে, রুক্মিণী ভগিনীকে চেদী রাজ্যেশ্বর শিশুপালকে প্রদান করে । এই রুক্মী, সৰ্ব্বদাই শ্ৰীকৃষ্ণের বিদ্বেষ করিত। সেই বিদ্বেষ বশতঃ দুষ্ট পিতামাতার অবাধ্য হইয়া কৃষ্ণকে নিমন্ত্রণ করিল না। পরমসুন্দরী রুক্সিণীর সৌন্দর্য্য মুখ্যাতি দিগ্বিদিক প্রচারিত হওয়াতে নিমন্ত্রিত মহীপালের ঐ অপূর্বকস্তা লাভেচ্ছায় ননি। দিগদেশ হইতে আগমন করিতে লাগিল। মহাবলবান চৌরাজ, ভীষ্মক তনয় রুকীর অভিপ্রায় অবগত হইয়া, সবিশেষ উৎসাহে মহারথে আরোহণ পূর্বক অভেদ্য শরাশন গ্রহণ করত সুচাৰু বরবেশে বিদ নগরে সমাগত হইল।” ইতোমধ্যেই শ্ৰীকৃষ্ণ, নারদ প্রমুখাং, ঐ স্বয়স্বর ব্যাপার অবগত হইয়া, বায়ুগামী রথে আরোহণ করত বিদৰ্ত্ত নগরে গমন করিলেন, এবং প্রচ্ছন্ন ভাবে অন্তরীক্ষে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। তিনি নিমন্ত্রিত রাজন্তবর্গকে, বিশেষতঃ যাহারা বর সজ্জায় সজ্জিত, তাছাদিগকে অবলোকন করিয়৷ মৃদু মন্দ হাস্ত করিতে লাগিলেন । তদনন্তর কৌলীক মঙ্গল চার করিবার নিমিত্তে কোন কোন কুলনার পরম কুতুহলী হইয়া কমলনয়ন রুক্মিণীকে গঙ্গা পুজার নিমিত্ত তৎপুলীৰে গইনা চলিন্ধে। তখন