পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট পঞ্চাশত্তমোধ্যায়। }సిసి) রাও একান্ত সাহস করিয়া থাকি। আমরা দুষ্টাপহত রাজ্যকে অবশ্যই পুনর্লাভ করিতে পারিব।” এক্ষণে নিৰেদন এই যে, বনবাসের দ্বাদশ বৎসর প্রায় শেষ হইল, এবং অজ্ঞাত বাসের বৎসর অদূরবৰ্ত্তি। অতএৰ বনবাস পরিত্যাগ করিয়া আপনারা এক্ষণে স্ব স্ব অবাসে গমন করুন । যুধিষ্ঠিরের বাক্যশ্রবণ করিয়া,পাণ্ডবগণের সহিত ৰিচ্ছেদ হইবে, এই বিবেচনায় তাহারা সকলেই একেবালে কাতর হইলেন। কিন্তু তদ্ব্যতিরেনে রাজ্যপ্রাপ্তির কোন সম্ভাবনা নাই দেখিয়া, সকলেই আবার সাহস অবলম্বনে প্রসন্ন বদন হইলেন। কেহ কেহ বলিতে লাগিলেন, ধৰ্ম্মরাজ ! তোমাদের সঙ্গত্যাগ যদিও আমাদের দুঃসহ দুঃখকর বটে, তথাপি তোমাদের দুঃখ দূর করণের প্রত্যাশ করিয়া আমরা সন্তুষ্ট হৃদয়েই নিজ নিজ বাসস্থানে চলিলাম। এই বলিয়া সকলেই প্রস্থান করিলেন . ত হাদিকে যথাসন্মানে বিদায় করিয়া পাণ্ডবগণও পাঞ্চালীর সহিত গহন বনে প্রবেশ করিলেন। নির্জনগহনে কিয়ংকাল বাস করিয়া, নিশ্চিত পরামর্ষানুসারে সকলে ছদ্মবেশ ধারণ পূর্বক বিরাটনগরে গমন করিতে লাগিলেন। নগরের অনতিদূরে উপস্থিত হইয়া ধনুর্বান ও তুণাদি অস্ত্রশস্ত্র সমুদায় একত্রিত করিয়। কতকগুলি জীর্ণ বস্ত্র ও মলিন এবং ছিন্ন শয্যাদ্ধার। বিলক্ষণৰূপে পরিবেষ্ঠিত করিয়া প্রান্তর মধ্যে একটী উচ্চতর সমীবৃক্ষের শিরোদেশে দৃঢ়বদ্ধ করিয়া রাখিলেন, এৰুং প্রচার করিলেন যে, এই সমীবৃক্ষে আমাদের জননীয় মৃতদেহ সংস্থাপন করিলাম ; আমাদিগের কুলাচারমত,