পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষটপঞ্চাশস্তমোধ্যায়। করিবে না। তুমি ঐ সঙ্কেত করিলেই, সেই পাপাত্মকে নৃত্যশালার মধ্যে আমি বিনাশ করিয়া তোমার অভিলাষ পরিপূর্ণ করিব। কিন্তু আমি যে তাহাকে বিনাশ করি লাম, ইহা যেন কেহই জানিতে না পারে। তুমি লোকে এই ৰূপ প্রকাশ করিবে যে, গন্ধৰ্ব্ব কর্তৃক সেই দুরাত্মা নিহত হইয়াছে। দ্রৌপদী, ভীমসেনের এই প্রকার নিশ্চয় অভিপ্রায় জানিতে পারিয়া দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ভীমের সুযুক্তি মস্তই জুরাত্মা কীচককে অভিমরের সঙ্কেত করিলেন। সেই সঙ্কেতানুসারে কীচক নিশাৰ্দ্ধ সময়ে অতি নির্জন ও অন্ধকরময়ী নৃত্যশালার মধ্যে প্রবেশ করিয়া মৃদুস্বরে বলিল, মনোমোহিণী সৈরিন্ধ কি আসিয়াছ? এই বাক্য শুনিয়া যুদ্ধ সজায় সজ্জিত যে ভীমসেন তথায় দণ্ডায়মান ছিলেন তিনি, দ্রৌপদীর স্বরানুকরণে যেন ক্ৰন্দন করিতে করিতে কহিলেন, বীরবর! তুমি সভামধ্যে আমাকে পদাঘাত করিয়াছ, সেই ব্যথা আমি এখনও অনুভব করিতেছি । অতএব এখন তুমি আমার অঙ্গ স্পর্শ করিলে সেই দুঃখানল আরও প্রবল হইৰে । এই নিমিত্ত তোমার নিকট গমনে আমি সাহসী হইতেছি না। অনন্তর কীচক এই কথা শুনিয়া কহিতে লাগিল, সুন্দর । সে কথা মিথ্যা নহে, আমি অতি গহিত কৰ্ম্ম করিয়াছি; ইহাতে নিশ্চয় আমার অপরাধ হইয়াছে ; সে জন্য আমায় ক্ষম। কর । অথবা এই আমি তৎপরিবর্তে আমার মস্তক পাভিয়া দিতেছি, তুমি যত বার ইচ্ছা পদাঘাত কর। তাহাতেও কি আমি অপরাধ হইতে মুক্ত হৰৈ না? কীচক এই বলিয়া,